আসন্ন গোধূলি লগ্নে সময় কাটে না একা ঘরে
জীবনের ত্রিকোন প্রেম চিন্তায় আষাঢ়ে মেষ এসে মনটা ভর করে,
মা ভাই-বোন স্ত্রী সন্তান এ ত্রিভুজ প্রেমের হয় না দাফন!
সারাদিন রাত বৃষ্টির যৌগিক প্রক্রিয়ায় মনের এটেল মাটির হয়েছে কাফন!
চারিদিকে মৃত্যু সংবাদ কাউকে পিটিয়ে কেউ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বাঁচতে চেয়েছিলো,!
মিশ কালো আধারে ছেয়ে গেছে কলালক্ষ্মীর বাংলাদেশ!
বিগত দিনের স্বর্ন অক্ষরে লেখা ইতিহাস মুছে দিলেন পরাজিত শক্তির ছদ্মাবেশ!
হতবুদ্ধি বিহ্ববল ঘূর্ণায়মান যত জ্ঞানী গুনি, দেশটা কিভাবে হলো শেষ
একজন মণুমিয়া ভুমিহীন পেয়েছিলো একটা ঘর, বৃদ্ধ ভাতা আজ আঁকড়া বাজারে কেনাকাটায় ক্লেশ!
ভীত শঙ্কিত আতংক গ্রস্ত নতুন সরকার কেড়ে নিবে নাকি তার সব ভাতা
হুঙ্কার দিয়ে মুক্তি যোদ্ধা তারামন বিবি কয়, ইজ্জত হারিয়েছি আমি ভাতা কেড়ে নিতে চায় কেডা, তার ঘাড়ে ক'টা মাথা?
১৯৭১ সালে কোথায় ছিলেন তিনি, যিনি অতীত সব ইতিহাস দিতে চায় মুছে
রক্ত দিয়ে ইজ্জত দিয়ে কেনা স্বাধীনতা হঠাৎ উদিত আকাশে কে দিতে চায় ঘুচে ?
কত জেল-জুলুম রক্তের সাগর পাড়ি দিয়ে গোলামীর নাগপাশ হয়েছে ছিন্ন
সেই পতাকা সঙ্গীত স্হপতির নাম মুছে দিতে কে এলো, বর্গী ইংরেজ পাকিস্তানি নাকি অন্য?
জমা দিয়েছিলাম অস্ত্র নিচু করে শির, তার কাছে, যে শির ছিলো উচু শিখর হিমাদ্রীর --
ট্রেনিং তো দেই নি জমা, স্বাধীনতার সাথে বেঈমানী, জায়গা তার হবে বঙ্গোপসাগরের তীর!
কত বেঈমান কলাবরেটর মুক্তি যোদ্ধার বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে পচে গলে গেছে মধুমতি পদ্মার জলে
আজ ও আমার ঘর পোড়ানো মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ, রক্তাক্ত ইতিহাস কে পদদলিত করে গর্বভরে , বাংলা মায়ের নিজ ঘরে?
কে তুমি হালাকু চেঙ্গিস খান পিনচোট কুইন মেরী নতুন স্বৈরাচার
পচে গলে প্রকৃতির নিয়মে মাটির নিচে প্রোথিত হয়েছে কেউ কেউ, ইতিহাসে লেখা আজ-ও তাদের অনাচার!
পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসা সব শক্তিধর,
সৃষ্টি কর্তা করেননি ক্ষমা, জনগনের কাছে সে ভন্ড মুখোশধারী তস্কর!
পালাবার পথ পাবে না প্লাবনের তোড়ে, লু সাইমুমের ঝড়ে
মিলবে না উড়োজাহাজ হেলিকপ্টার পালাতে হবে ভ্যান ভাড়া করে!