তুমি কি ছাত্র নাকি স্বৈরাচারী
কৈ তোমার মাঝে তো ছাত্রের কোন বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাইনা?
একজন চরিত্রবান ছাত্রের সাথে
তোমার কোন মিল নেই।
তুমি যতই বড় ডিগ্রিধারী হওনা কেন,
তোমার মাঝে সুশিক্ষার বিন্দু মাত্র নেই?
তোমার মতো ডিগ্রিধারী শিক্ষিত ব্যক্তির চেয়ে
অশিক্ষিত ব্যক্তির মূল্য অনেক।
কারণ তার মাঝে পারিবারিক সুশিক্ষাটা আছে।
তুমি টাই পরা কোর্ট আর সুজের মূল্য না দিলেও,,,
একজন ভিখারী তার ছেড়া বস্ত্রের মূল্য খুব ভালো করেই জানে।
যেখানে তুমি নিজেকে নিয়ে উচ্চ শিক্ষার গৌরব কর,
সেখানে একজন ভিখারী আত্মমূল্যায়ন করে চলে।
তোমার মত অহংকারী ব্যক্তিরা যেখানে ভিখারীদের আশ্রয় দেয়না,,,
সেখানে একজন ভিখারির বাড়িতে গেলে গায়ে পড়া বস্ত্র দিয়ে তোমার মতো শিক্ষিত ব্যক্তিদের আসনটি পরিষ্কার করে বসতে দেয়।
তার ঘরে নুন পান্তা হলেও তোমার মতো অহংকারী ব্যক্তিদের আপ্যায়ন করাতে চায়।
কিন্তু দুঃখের বিষয়!
যেখানে তোমার বাড়িতে গেলে খাওয়া তো দূরের কথা তাকে দেখলেই পাশ কাটিয়ে চলে যাও।
আমি তোমাকেই বলছি আর তোমার মতো জঘন্য ছাত্রকে।
যারা ছাত্রের নামে ভন্ডামি করে,
মানুষকে অবমাননা করে,
মানুষকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।
এক প্লেট খাবারের বিনিময়ে প্রাণ হারাতে হয়।
আমি সেই ছাত্রকে বলছি,
যারা দিনের পর দিন সনাতনীদের বাড়িতে কিংবা মন্দিরে হামলা করে।
আমি ধিক্কার জানাই সে ছাত্রদের।
ধিক্কার জানাই তাদের অহংকারী গৌরবকে।
তোমাদের মতো শিক্ষিত ব্যক্তির দরকার নাই এই স্বাধীন বাংলায়।
ছাত্র হলে ছাত্রের মতো থাকো।
তুমি ছাত্র নও, স্বার্থ লোভী কাপুরুষ!
ছাত্র তো সে যে উচ্চ শিক্ষিত না হয়েও
সুশিক্ষিত হয়।
প্রতিটি মানুষকে স্বাধীন অধিকার দেয়।
ন্যায় অন্যায় বুঝে, সবার মাঝে সমতা খুঁজে।
আমি সেই স্বশিক্ষিত ব্যক্তিকে সেলুট জানাই।
এই বাংলায় হাজারো জ্ঞানি সুশিক্ষিত ব্যক্তির জন্ম হোক যুগে যুগে।
হে সৃষ্টিকর্তা তুমি সকল মানুষকে
সুমতি দান কর।