আমার আপন যে-জন ছিল রক্তের,
সেই বড়ো বিশ্বাসের বিশ্বাসঘাতক।
একই গাছের ফল হয়েও লাভ কী ?
যবে রক্তের গুণাগুণের গুণে বিফল,
যে নিজেই নিজের কর্মগুণে ঘাতক !
বিচরণ তাহার দুর্ধর্ষ অসৎ সঙ্গীর সঙ্গে,
অন্ধ সে দিবালোকে-ও মিথ্যার মোহে।
যে আপনা চেনেনা, সে কারোর আপন
আর হয় বা কেমনে, যার নেই নাড়ির টান,
নেইকো মূল্য যার কাছে কোনো রক্তের মান।
নিজের সর্বনাশ নিজেই করে হায়রে বেওকুফ,
না চেনে “মা” , না ‘ভাইবোন’ , না “বাবা” ,
চেনে শুধু কু”সঙ্গের সঙ্গী আরো আছে যা।
সে আবার আপন হয় কি করে ?
যদিও কলিজা হয়েও দিলে দাগ এঁটে দেয় !