কলমে: মোঃ আব্দুল রহম
কলেজের গেটে ধাক্কা লাগল হঠাৎ;
তোমার হাতের বইগুলো পড়ল ঘাসের উপর,
তুমি বললে;”ইডিওয়ট, দেখে চলতে পার না! কোথা থেকে যে সব চলে আসে, কে জানে? দেবো চড় সপাৎ!”
“আহ্, কি সুমিষ্টি কণ্ঠস্বর! কি যে অপূর্ব দেখতে তুমি!”
মনে মনে বললাম আমি, আহ্ কি অপূর্ব মেঘলা চোখ,
তোমাকে এক নজর না দেখে সরাতে পারিনা পলক!
ইশ! কি তোমার রূপের ঝলক!
বইগুলো তুলে, পাশ কাটিয়ে পিছু ফিরে, রাগে ফোলানো চোখে মুখে সেই অপূর্ব লাবণ্য!
তোমাকে দেখে ধরার বুকে সত্যিই আমি ভীষণ ধন্য!
সেই যে তোমার কোমল হাতের স্পর্শে ছুঁলে আমার হৃদয়,
সেই যে তোমার কাজল কালো নয়নে আঁকলে ছবি মায়ায়,
আমি না ভুলতে পারিনি সেই দৃশ্য! আমার মনে আজও বেজেই চলেছে সেই তোমার রেশমি চুড়ির আওয়াজ!
আজও ভেসে ওঠে সেই তোমার রূপালী জোছনার সাজ!
সন্ধ্যায় তারাদের ঝিকিমিকি আলোয় নামল এক পরি,
ধরার বুকে আমার হৃদয় করল যে সে চুরি!
আজও স্বপ্নে কেবল তোমার সেই অপরূপ ছবিই ভাসে,
মৃদু বাতাসে যেন আজও তোমার সেই স্মৃতি ও ঘ্রাণ ভেসে আসে,
চুলগুলো মনে পড়ছে না, বিনুনি? নাকি খোলা ঝরনা!
সত্যিই বলছি, সেই প্রথম দেখায় তুমি আমার হৃদয়ের আয়না!
হানা দিয়ে গেল হৃদয়ও গগনে সেই নীল হরিণী!
যার আলতো ছোঁয়ার টানে বিঁধল এ বুকে ঢেউ সাগর,
উত্তাল হল মনের আঙিনা; না পারি ঘুমোতে, না পারি জেগে থাকতে,
মন চাই শুধু তাকে, তার ছোঁয়া পেতে, তাকে দেখতে,
ইশ! কিভাবে জুড়ায় বলো বিরহের আগুনে পোড়া এই অন্তর!
বলো সখী, “কোথা গেলে পাইব তোমারে!”