যে ছোট্ট শিশুটির
রোজ নিশি কাটে
মায়ের বুকেতে জড়িয়ে,
দিনের আলোতে বন্ধুর আলাপে
ভুলে রয় মা’কে খেলা-ধুলাতে,
সে ছেলে আবার আঘাত পেলে
মায়ের বুকে চাই ফিরতে,
শান্তির আশ্রয় ভেবে।
যে ছেলেটি থাকে মায়ের কোলেতে
থাকে গাড়িতে বাড়িতে,
মধ্যবয়স্ক সে ছেলেটি আর পারে না
বাড়ি ছেড়ে কোথাও দূরে থাকিতে,
আত্মীয় কিংবা পরম বন্ধুর বাড়িতে।
সকল শান্তি খুঁজে পেল সে আপন বাসভবনে
কোথাও তার মন টিকলো না,
সুখের আশ্রয় আপন বাড়িতে।
সকল শান্তি মায়ের কাছে, মায়ের মিষ্টি কথাতে।
অস্তিত্ব ভুলে পারে না কেউ থাকিতে,
ফিরে রক্তের কাছে।
সংসারে যে অভাবের দুঃখ
ছেলে মেটাতে গেল তা বিদেশে,
ছেড়ে আপন স্বদেশ!
কত টাকা লাড়ে, কত টাকা ছাড়ে
ছেলে বিদেশ হতে।
মনে তাহার নাইরে সুখ,
কুঁড়ে ঘরেই আসল সুখ,
শান্তি মায়ের কোলে।
স্বপ্ন তাকে নিয়ে গেছে
বিদেশ নামের দূর প্রবাসে,
তাহার টাকায় পরিবার সুখী,
তার মুখে নেই হাসি,
পরতে চাই দুঃখে -গলায় ফাঁসি!!
বিদেশ ফেরত আগমনী শে,
আর দেশের শত মানুষ
যেখানেই যে কাজে কর্মে থাকে,
শান্তি মেলে আপন নীড়ে ফিরে।
তার চেয়ে বড় শান্তির জায়গা
জানে মন সে জন,
যে জন নিয়ম মেনে রবের কাছে
সেজদা করে প্রতিনিয়ত,
জানে সে জন শান্তির ওই মহাস্থান,
ইবাদত ঘর-মসজিদ খানি।
যেখানে মরিতে নেই ভয়,
মৃত্যুতেও হয় জয়।