তোমার সঙ্গে হয়তো আমার আর কখনও দেখা হবে না, কথাও হবেনা।
তাই বলে এই নয় যে তুমি আমার মাঝে নেই।
তুমি মিশে আছো সূর্যের আলোয়, ভোর হতেই আমার গায়ের উপর তোমার রশ্মি জ্বল জ্বল করে।
আর আমি সেই ভোরের আলো নিয়ে দুপুর রোদের অপেক্ষায় নিজেকে ভালোবাসতে থাকি।
যখন গগণ জোড়া টকেটকে ঝকঝকে পরিষ্কার সূর্যটাকে আমার মাথার উপর দেখি, তখন মনে হয় তুমিই ওই সূর্যের উপর দাঁড়িয়ে আছো। তোমার রাগান্বিত চোখের
মণি দুটো আমাকে মায়াবী সুরে বলছে বাইরে কেনো?
যাও ঘরে যাও একটু বিশ্রাম নাও।
বিকেলের হালকা রোদের অপেক্ষায় নিজেকে দেখতে ভীষণ ইচ্ছে করে। ওই নরম কোমল শুভ্র নির্মল বাতাস তোমাকেই মনে করিয়ে দেয়।
মনে হয় কোন এক সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে আছি।বুকের সম্ভব চাপা কষ্টের অবসান ঘটবে হয়তো এখনই।
সূর্যকে একবার ভালো করে দেখতে কার না ইচ্ছে করে। লাল সূর্য, পড়ন্ত বিকেল, খোলা মাঠ। বাতাসের তীব্র গতিতে মনের ভেতর ছুটে আসে হিমে লতা।
সন্ধ্যা বুঝি নেমে এলো, পাখিদের মুক্ত আকাশে উড়ে উড়ে নীড়ে ফেরার পর্ব।
আমি কেনো দাঁড়িয়ে আছি? কার অপেক্ষায়? তোমার জন্য কি?
কে সেই তুমি? তুমি তো স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকতে পছন্দ করো।
আর আমাকেও স্বপ্নের রানী হয়ে কাটিয়ে দিতে হলো
সারাটা জীবন। স্বপ্নরা সুখ দিতে পারেনি কখনও? মিথ্যার আশা দিয়ে জীবনকে পার করতে পেরেছে হয়তো।
তোমার জন্য অনেকটা পথ হেঁটেছি একা একা কিন্তু আজও মেলেনি তোমার দেখা। স্বপ্নের ঘরে বন্ধি হয়ে থেকো তুমি, আর আমি তোমার জন্য হাজার পথ পাড়ি দিবো, সকাল, দুপুর, বিকেলের সূর্যটাকে দেখতে থাকবো।
সন্ধ্যা নেমে এলে আবারও ফিরে যাবো সেই স্বপ্নের ঘরে।
যেখানে থাকবে শুধু স্বপ্ন আর আমি।