কলমে: ইয়াকুব আলী তুহিন
হঠাৎ করেই পথে চলি বাসে উঠে চুপটি,
পেছনে ছিলাম বসে আমি, জানালাতে চোখটি।
সামনে দেখি চেনা মুখ দিদি বসা সামনে,
হাসির ঝিলিক দিলেন ক্ষণিক স্বপ্ন জাগে মনে।
হাত নাড়িয়ে ইশারা যেন কথা নেই মুখে,
হাসি যেন শব্দহীন মিলে গেল চোখে চোখে।
ব্যস্ত দিনের ক্লান্ত দুপুর শহরের এই বাসে,
সবাই যেন আপন ধ্যানে একাকার মিলেমিশে।
ক্ষণে দেখি দিদির মুখে বদলে গেছে রং,
বিরক্তি যেন আঁকা তাতে চাপা দুঃখের ঢং।
যাত্রীর ভিড়, বাসের স্রোত শব্দের ভারী ঢেউ,
মিছে কথার ফুলঝুরিতে কান দেয়নি কেউ।
অতি কথায়, থেমে থেমে বাস চলছিল ধীরে,
একটি মুখের হাসি হারায় বিরক্তিতে ঘিরে।
তবুও সেই মুহূর্তখানি স্মৃতির রঙে রাঙা,
হাসির মাঝে জীবন বুনা কষ্ট হবে ভাঙা।
ঠাসা ভিড়ে হাওয়ার অভাব, যেন শ্বাসটাও বন্ধ,
দিদির মুখের সেই হাসিটা কোথায় গেল গলধ?
শব্দ-ছবি মিলিয়ে যেন এক বিশৃঙ্খলা বাঁধে,
একটি পথের কোলাহলে মনের শান্তি কেড়ে নেবে।
তবু স্মৃতি রয়ে যায় সেই এক ঝলক হাসি পাওয়া,
যতই থাকুক কষ্ট, ভিড় শান্তি তাতে লুকিয়ে সওয়া।
জীবনের পথ বাসের মতো ভিড় আর শব্দে ঘেরা,
তবুও খুঁজে নিতে হবে—হাসির সেই মুহূর্ত ধরা।