০১- নানা ভূতের ছানা
————————————-
নানা ভূতের ছানা,
খেলতে গেল মাঠের পানা,
একজন পড়ে গেল গর্তে,
বাকি সবাই হাসতে হাসতে!
ছোট ভূত বলে, “কি রে ভাই,
এই তো সবে শুরু হয় নাই!”
মাঝে ভূতটা নাচতে শুরু,
বাকি সব ভূত দিচ্ছে ঘুরু ঘুরু!
এক ভূত বলে, “আমি আজ ভয়,
তুমি নাচো, আমি যে রয়!”
সব ভূত মিলে করে মজা,
ভয় নেই, নেই কোনো সাজা!
মেঘের ভেতর করে তারা বাস,
সারাদিন শুধু হাসাহাস,
নানা ভূতের ছানা সবই,
রাত হলে আসে খেলতে বালাই!
০২- ভূতের চোখ ডিম ডিম
——————————-
ভূতের চোখ ডিম ডিম,
গভীর রাতে চলে হিম,
শোঁ শোঁ করে হাওয়ার গুনগুন,
পিছন ফিরে দেখি যেন ধুন ধুন!
ছায়া ঢেকে অন্ধকারে,
ভূতটা আসে কারে কারে,
পায়ের নিচে মাটি কাঁপে,
মনে হয় ভূত সামনে দাঁড়ায় থমকে।
হাত বাড়িয়ে দেয় একটুখানি,
কাঁপছে আমার গা-হাত-পা’র প্রাণী,
ভূতটা বলে, “ভয় কীসের?
আমি তো আছি তোমারই ঘরের!”
তবু চলে যাই আমি ছুটে,
ভূতের চোখে ডিমের মতো ফুটে,
পেছন ফিরে দেখি আবার,
ভয় কেটে গেছে, সে ছিল কল্পনার!
০৩- বৃস্টি রাতে ভূতের দৌড়ান
——————————–
বৃষ্টির রাতে ঝমঝম সুর,
ভূতেরা দৌড়ে করে হুড়মুড়,
গাছের ফাঁকে ছায়া ঢাকে,
একটা ভূত পিছে পিছে হাঁকে!
ঝমঝম হাওয়ায় ভেজা গা,
ভূতটা বলল, “ধরব না!”
তবু আমি দৌড়াই শ্বাস ফেলে,
পিছনে ভূতটা হাসে মেলে।
বিজলি চমক, মেঘের গর্জন,
ভূতের দৌড়ানিতে বাজে সঘন,
পায়ের তলায় মাটি কাঁপে,
ভয়ে মনে হয় বুকটা থামে!
বৃষ্টির ফোঁটায় সাদা ধুতি,
ভিজে গেছে, কেমন ফুঁতি!
তবু সে দৌড়ায়, থামে না,
বৃষ্টির রাতে ভূতের দৌড়ানো সারাক্ষণা!