০১- মুগ্ধ, আবু সাইদরা আমাদের সন্তান
————————————
আমি ভীষণ গর্বিত ওরা আমাদের সন্তান
আমি বিষ্মিত ওদের ত্যাগ,সংগ্রাম দেখে
ওরা ৭১ দেখেনি তারপরও ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামী
ওরা ৫২ দেখেনি তবুও সোচ্চার ন্যায়ের পক্ষে
ওঁরা মেধাবী নয় শুধু এক একজন নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত
পানি লাগবে পানি বলে গুলি খেলো যে মুগ্ধ
সে মানবতার বড় দৃষ্টান্ত
বুক পেতে দিল যে দেশের জন্য, দশের জন্য
কারাগার ভাঙতে শিখাল স্বৈরশাসকের
জাতিকে নতুন করে জাগাতে দিশারি হলে
জাতিকে গণতন্ত্র শিখালে
বৈষম্যহীন সমাজ সংস্করণ শিখালে
আমরা যদি না পারি তা সংরক্ষণ করতে
আমরা যদি না পারি তা পূণঃর্বহাল রাখতে
তবে হেরে যাব তোমাদের কাছে।
ক্ষমারও অযোগ্য হবো সেদিন
ধিক্কার দিবে তোমরা জান্নাত থেকে
আমাদের চরম ব্যার্থতা হবে তা
স্বাধীনতা দিয়েছ এনে আবারও
তোমাদের কাছে আমরা ঋণী।
০২- দূরত্ব
——————————-
দূরত্ব তোমার সীমানায়
ভীড় করে প্রতিনিয়ত
আকাশ থেকে তারার বিচ্ছেদ
অযাচিত অশোভন নিলয়ে
কর্মব্যাস্ত জীবনের ক্লান্তি লগ্নে
খুঁজে ফিরি একরাশ হতাশা
নিমগ্ন থাকি ভুলের স্বর্গরাজ্যে
আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকে বিষাদ
দূরত্বের বলিরেখায় ভাঁজ
ক্রমশ দীর্ঘায়িত হয়।।
০৩- বিকেলের কাশবন
——————————–
শরৎ বিকেলের কাশবন
বাতাস বয় শনশন
সূর্যের নরম রোদ মাথায়
স্নিগ্ধ শান্তি সুষমায়
দোলে ফুল সাদা অজস্র
অনুভবে সুখ মিশ্র
পাশে জলে পড়ছে ছায়া
ডিাঙি দোলায় নায়া
বক উড়ে ঐ আকাশে
দূ একটা লুকায় কাশে
এমন দৃশ্যে আমি মুগ্ধ
আলোর দ্বার রুদ্ধ
অন্ধকারেও আরেক রূপ
শরৎ কি অপরূপ!
০৪- সমুদ্র
——————————–
সমুদ্রের বাঁধ ভাঙা ঢেউ
রুখতে পারে কি কেউ
ফেনায়িত গর্জনের হ্রেস
কানে লাগে ভালো বেশ
পাড়ে আঁচড়ে পরে যখন
বুকে হাহাকার জাগে তখন
চাঁদের আলোয় সে দারুণ
মনের ক্ষুধা সেটা সারুন
কি অপরূপ সুন্দরী তুই
আকাশে তাকিয়ে ঢেউয়ে শুই
সূর্যাস্ত সূর্যোদয় বর্ণনাতীত
ভুলে যাওয়া কষ্ট অতীত
বারবার ফিরে যাই সমুদ্রে
তার শোভা শেষ নয় ক্ষুদ্রে।।
০৫- তালের পিঠে
——————————–
তালের পিঠে মজা ভারী
তার তুলনা নেই
পোয়া, পায়েস কত আরও
সবার পাতে দেই
তাল পেকেছে ঘ্রাণে উতাল
মৌ মৌ গন্ধে ভরা
গাছ থেকে পেড়ে নিয়ে
সুস্বাদু! ভেজেছি বড়া
জামাই, নাতি পূতির জন্য
আছে আরও মেলা
শরতের শুরু তালে তালে
হরেক পিঠের খেলা
রস নিতে কষ্ট যদিও
হই না পেরেশান
নারিকেল আর রস মিলে
কি মজা! একটু খান!
০৬- হুরান চাউল ভাতে বাড়ে
—————————————-
হুরান চাউল ভাতে বাড়ে
দূর! কইওনা তোমরা তারে
আমার তো কুব মজাই লাগে
হিদলের ভর্তা থালহে ভাগে
আরও আছে সাশনি দেহ
কিলাইলে ঘার ছারত না কেহ
কাডল গুডার মুরগী ছানুন
আগে ভাতো মাহাও নুন
আমরা হেইলারও কুব হছন্দ
এই বেলা নাই কোনো দ্বন্দ্ব
কাওহাইন বেহেই অহন থাইক্যা
এর মতন ভাত আর নাইক্কা।
—————————————-
কবি: নাসরীন খান,
স্বপ্ন নগর আবাসিক এলাকা১
মিরপুর, সেকশন ৯
বিল্ডিং ৭,৬/ ই
পল্লবী ঢাকা- ১২১৬