০১- সম্প্রীতির বাজনা
-------------------
সাইবেরিয়ার আবাস ছেড়ে
বাংলা মায়ের নীড়ে
সাত মহাদেশ ঘুরে উড়ে
আসছে চলন তীরে।
নামনাজানা হাজার পাখির
কূজন সুমধুর
সম্প্রীতির বাজনা যেন
মন মাতানো সুর।
বাংলামাকে ভালোবেসে
শীতঋতুতে আসে
ঝাঁকেঝাঁকে বিলের বাঁকে
মনের সুখে ভাসে।
০২- আমাদের গাঁয় আছে
-------------------------
আমাদের গাঁয় আছে
ফসলের মাঠ
জলডোবা দীঘি আছে
শানবাঁধা ঘাট।
কাচাকাচা রোদ আছে
রবির হাসি
রাখালের হাতে শোভা
বাঁশের বাঁশি।
আউশ,ইরি,বোরো আছে
আমনের দোল
নবান্নের খুশি আছে
জারি-সারি বোল।
আমাদের গাঁয় আছে
পাখির কূজন
ভাই ভাইয়ে মিল আছে
সুহৃদ- সুজন।
০৩- শীতের ছড়া
---------------------
হিমঝুরির হিমহিম
হিমঋতু কই?
কনকনে কুয়াসা
করে হইচই।
হাড়কাঁপা ভীত নিয়ে
শীত এলো গাঁয়
ঘরকোনে কুনোব্যঙ
কীট ধরে খায়।
০৪- গোলাপ
----------------------
গোলাপশাখে সুবাস ঝোলে
পাপড়িঠোঁটে হাসে
কাননজুড়ে গোলাপপরী
খুশিরবানে ভাসে।
সাদা-সফেদ গোলাপটি ঐ
প্রেমবাগানে ফোটে
প্রজাপতি হৃদয় দিয়ে
ভালোবাসা লোটে।
গগনথালায় তারা যেমন
মিটিমিটি জ্বলে
ধরার মাঝে গোলাপতারা
তেমন কথা বলে।
০৫- বুবু'র জন্য
------------------------
বুবু আমার রাগ করেছে
মুখ করেছে ভার
হাসি মুখের চেয়ে রাগী
মুখটি চমৎকার।
রাগ করো না বুবু তুমি
দেবো ফুলের মালা
তোমার জন্য এনে দেবো
হীরে মানিকআলা।
কুসুমকানন তোমায় ডাকে
পাপড়ি মেলে ঐ
প্রজাপতি উড়েউড়ে
বলছে বুবু কই?
কুলুকুলু নদী ডাকে
বায়ু শন শন
গোমড়া মুখে আর থেকো না
কাঁদে আমার মন।
০৬-কাকা ও সাইকেল
------------------------
ক্রিং ক্রিং ক্রিং
ঘণ্টা বাজায় কে
ঘণ্টাতো নয় কাকা আইছে
সাইকেল চালিয়ে।
আমার আছে কাকা দুটো
কাকার আছে চাকা দুটো
বন বনিয়ে ঘোরে
যেনো হাওয়ায় ওড়ে।
সাইকেল রেখে যেইনা কাকা
ঘুমিয়ে পড়ে ঘর
আর দেরী নয় অমনি আমি
বেরিয়ে পড়ি ত্বর।
চাচি চ্যাঁচায় সাইকেল চাপায়
পড়বি বুঝি আজ
ভরদুপুরে খাওয়ার পরে
নাইকি কোনো কাজ?
এই শোন বোকা ছোট্ট খোকা
চেচিয়ে মরে কাকি
ছোট্ট আমি তাই বলে কি
সাহস ছোট্ট নাকি?
০৭- স্বদেশের কোড়ে
---------------------------
আকাশের লালবাতি
মিট মিটে আলো
পূর্ণিমার চন্দ্রিমা
হৃদ চমকালো।
বাতাসের কানভারি
গান গায় জোড়ে
শন শনে অপর্ণে
স্বদেশের কোড়ে।
কন কনে দর্শনে
শীতভোরে আসো
বুড়োদের ভীত দেখে
ফিক করে হাসো।
ফুলগুলোর মূল নেই তা
ভুল করে জানি
গগনের মেঘমালা
বেশ অভিমানি।
স্বপ্নালো আছে তাই
সূর্যালো হাসে
চন্দ্রালোর খোশ দেখে
দুখো সব নাশে।
ঝর্ণার ঐ রূপ দেখো
ঝরঝর ঝরে যে
পাহাড়ের বুকফাটা
কান্নাটা বোঝে কে?
----------------------------
ফরিদ আহমদ ফরাজী,
গ্রাম বালিপাড়া, উপজেলা ইন্দুরকানী,
জেলা পিরোজপুর-৮৫০২।
তিনি ১৯৮৩ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন।পিতা আব্দুল গনি ফরাজী, মাতা ছালেহা বেগম। সম্প্রতি তিনি সৌদি আরব অবস্থান করছেন।
মোবাইল নং- ৯৬৬০৫৭০৬৭৯২৬৮