“”আগমনী সুর”””
—————————
শারদ শুভেচ্ছা আর আশীর্বাদ বয়ে দিতে,
তোমার আগমনী সুর বেজেছে আজ
প্রতিটি বাঙ্গালী সনাতন ধর্মের প্রাণেতে।
তুমি আসবে বলেই তো এতো সাজ সাজ রব,
কাশবনের ফুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে
মধুর বীণা বাজিয়ে উঠেছে মনে কলরব।
উলুধ্বনি শঙখ বাজিয়ে করবে তোমায় বরণ,
ঢাকের তালে তালে সন্ধ্যা আরতিতে
ধূপের ধোঁয়ায় তোমার পানে করবে শ্রদ্ধা নিবেদন।
তুমি মুছে দিবে মনে আছে যতো অশুরত্ব,
তুমি দূর্গতিনাশিনী হয়েই শুধু
দিয়ে যাবে সত্য ন্যায়কে মানবের প্রাণে অমরত্ব।
তোমার পাদপদ্মে জানাবে শত কোটি প্রণাম,
দিবে তোমায় প্রাণের অর্ঘ্য
দূর করার মানসে মনের অশুরত্বের বদনাম।
“” নিরন্ন বিষন্ন মুখ””
————————————-
নিরন্ন বিষন্ন এক একটি মুখ
অশ্রু জলে ভেজায় আখি,
দুঃসহ যন্ত্রণার করুন আর্তনাদ
হয়ে থাকে নিত্য সখী।
বঞ্চিত, নিষ্পেষিত এক একটি মুখের
বেদনায় হয় মলিন মুখচ্ছবি,
ফেল ফেল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে
খুঁজে ফিরে হাস্যোজ্বল ছবি।
অনাগত আগামী ভবিষ্যৎ এর পানে
দৃষ্টি করে যায় অবিরত,
জানেনা আদৌও পাবে কিনা
সম্ভাবনার প্রভাত যা ছিলো স্বপ্নরত।
অনিশ্চয়তার দুর্ভাবনায় হারিয়ে ফেলে শেষে
স্বপ্নীল মনের নব স্বপ্ন,
হতাশার চাদরে ঢেকে বলে যায়
থেকো না স্বপ্নে মগ্ন।