লেখক:- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
আমরা বাঙালি মুসলমান, কার ভিতর আছে পাক কুরআন? সারাদিন কই মিথ্যা, গুজবে দেই কান! তবে লেবাস আছে, আছে বিসমিল্লাহর সংবিধান, রাস্ট্র ধর্ম ইসলাম --যিনি চালিয়েছিলেন স্বৈরশাসন, কিন্তু কুরআনের পথে কেউ হাটেন নাই এক কদম!
প্রিয় পাঠক, আমার বিষয় হচ্ছে মিথ্যা বলা ও গুজব ছড়ানো! আমরা হুজুগের বাঙালি কিন্তু আমাদের জাত-পাত কিন্তু কোন জাতির থেকে খারাপ না, সভ্য দ্রাবিড় জাতি থেকে আমাদের আগমন, আমরা বাঙালি রা দেশবিদেশে গেছি জ্ঞান বিজ্ঞান সাংস্কৃতি ছড়াতে কোন সম্পদ লুঠ করতে বাঙালী কোনদিন কোন দেশে যায় নাই! বর্গী বৃটিশ আলেকজান্ডার সবাই আসছে সম্পদ লুটতে! ইসলাম ধর্মের আগমন ঘটলে বাঙালির তা সমাদরে গ্রহন করেছেন! দার্শনিক "গোখলে" বলেছিলেন, "বাঙালি যা আজ ভাবে সারা ভারত তা বোঝে এক সপ্তাহ পরে!" সেই জ্ঞানী বাঙালি আজ ও বুঝলো না, আল্লাহ তার বিচার করবেন সারাজীবনের কর্মের উপর। আজ ও বুঝলাম না শিরক হিংসা-বিদ্বেষ সুদ ঘুষ অকৃতজ্ঞতা জেনার থেকে মহা পাপ যা নিজ মায়ের সাথে জেনা করার সমান! আজ ও মানবিক মানুষ হলাম না! আজ-ও বুঝলাম না " "ধর্মভিত্তক রাজনীতি" ৫৭ টা মুসলমান দেশে কোথাও জায়গা নিতে পারে নাই। মোগল বাদশাহ "আওরঙ্গজেব এক হাতে কুরআন এক হাতে তরবারি" শাসন করেও ইসলাম প্রতিষ্ঠা পায় নাই, দিল্লি তার মরার পরে ও ১৮% মুসলমান ছিলো। তার মত প্রতাপশালী কেউ আজ ও জন্ম নেন নাই! পঞ্চাশ লক্ষ স্কয়ার কিলোমিটার ছিলো ভারত তার শাসনে, সারা বিশ্বের রিজার্ভ অর্থের ৫০% ছিলো তার ট্রেজারী তে, তিনি মোগল ঐতিহ্য মদ মহিলা নৃত্য শালা, বাঈজী কলোনী, নাট্যশালা, গানের আসর সব বাদ দিয়েছিলেন, তবুও তাকে সেকুলার (ধর্ম নিরপেক্ষ) থাকতে হয়েছে। তার রাজদরবার থেকে সারা দেশে ৬০/৭০% হিন্দু চাকুরী করতো! আবার হিন্দুদের উপর যিযিয়া কর আরোপিত ছিলো! তার সিংহাসনর মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা!
তৈমুর লং উজবেকিস্তান থেকে এসে দিল্লি জয় করতে কয়েক লাখ হিন্দু হত্যা করেছিলেন কিন্তু ইসলাম প্রচারের জন্য চেষ্টা করেন নাই, তিনি নিষ্ঠুর শাসক ছিলেন, তেমনি ছিলেন জেন্দা "ইসলামি পীর"! তার আমলে বিশ্বে ইসলামি রাস্ট্র সুদূর ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তারিত হয়েছিলো!
তার নাম বলে হিন্দু মা তার সন্তানকে ঘুম পড়াতেন। তিনি যা বলে গেছিলেন তা মরার পর খেটেছিলো!
আওরঙ্গজেব, তৈমুর লং মিথ্যা বলেন নাই, মানুষ কে ধোঁকা দেন নাই। বলেন নাই " অমুক ক্ষমতায় এলে মসজিদে উলু ধ্বনি হবে, শাপলা চত্বরে হাজার হাজার লোক মারা গেছে, হিসাবে সম্ভবত ২৭/৩৭ জন মিলে ছিলো! মানবাধিকার আদিলুর রহমান, উপদেষ্টা সম্ভবত এখন, এমনি সংখ্যা বলে ব্রাসেলসে হিসাব মিলায় দিতে ব্যর্থ হলে বিদেশি রা সভা ছেড়ে চলে যান! ৫ ই আগষ্ট পর্যন্ত হাজার হাজার হত্যায় গনহত্যা দাবী করা হয়েছে, অথচ জাতিসংঘের কার্য্যালয় মানবাধিকার হিসাবে জেনেভা প্রকাশ ১৬ই জুলাই থেকে ১১ ই আগষ্ট
৬৫০ জন মারা গেছে! স্মর্তব্য, এটা ১১ ই আগষ্ট পর্যন্ত হিসাব। হাসিনা প্রশাসন ৫ ই আগষ্ট সকালে ই শেষ।
পুলিশ হাসপাতালে রাজারবাগ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বলেছেন, "হাজারের উপরে! ফ্রান্সের পত্রিকা প্রতিবেদন ১৬ই জুলাই থেকে ৫ ই আগষ্ট কমপক্ষে ৩০০ জন উল্লেখ করেছে!
তা হলে ৩০০ জন ৫ ই আগষ্ট মৃত্যু হলে ১১ ই আগষ্ট বা আজ পর্যন্ত REVENGE DEATH কত? জাতিসংঘ ও স্বাস্হ্য উপদেষ্টা শুভঙ্করের ফাকি হলো " প্রতিশোধ মূলক হত্যা পূর্বের সরকারের ঘাড়ে চাপানো"! সংখ্যা লঘূ, পুলিশ মৃত্যু , আওয়ামী সমর্থক মৃত্যু, প্রতিশোধ হত্যা যেমন গাজী টায়ার কারখানায় কর্মরত দেড় শো শ্রমিক বাইরের গেট লক করে আগুন দেয়া ইত্যাদি!
জাতিসংঘ মানবাধিকারের একটা গনহত্যা প্রয়োজন ছিলো তা হলে হাসিনাকে সাদ্দাম বানানো যেতো, এদেশে ও সে প্রপাগাণ্ডায় আমরা ডক্টরেট। ভারতের গ্যাস বন্ধ করে বাহাদুরি গুজব। ভারতে কোন গ্যাস ই দেয়া হয় নাই কোন আমলে! রাশিয়ার গ্যাস পাইপলাইন বাল্টিক সাগরপথে তলদেশ থেকে জার্মান সরাসরি গেছে যাকে "নর্থ স্ট্রিম" পাইপ লাইন বলে, এবং সেই ৫২ বিলিয়ন ডলার খরচের গ্যাস লাইন ডিনামাইটে উড়িয়ে দিলে সাড়া বিশ্ব জানে, বাংলাদেশ ভারতকে কি আকাশ পথে গ্যাস দিলো? গুজব আমাদের চরিত্রে প্রেবেশ এমন ভাবে করেছে, সত্যি ও এখন গুজব মনে হয়!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন। ধর্ম নিজ আত্মার বিশ্বাস দেশের মাটি কখনওই ধর্মের প্রসাদ খায় না! অতএব আত্মা শুদ্ধ করেন, নিজ নিজ ধর্ম পালন, অন্যের ধর্মে সন্মান এবং ধর্মের আদেশ নিষেধ পালন করেন!