লেখক:- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
নারী বিশ্ব জয় করেছেন একটার পর একটা ডেমোসেল ক্রেন পাখীর মত হিমালয় শৃঙ্গের উপর দিয়ে দু’শো মাইল বেগে প্রবাহিত অনিল প্রতিকূলে পাড়ি দেয়ার মত! ইরানের মৌলবাদী সরকারকে পরাজিত করে হিজাব পরিধানের বাধ্য বাধকতায় জয়লাভ করলো! হিজাব নিয়ে ইরানের পুলিশের হাতে হত্যা হয় “মাহশা আমিনী” সেই সংগ্রামে রোডে নেমে আসে লাখ লাখ নারী পুরুষ, চুল মিডিয়ার সামনে কেটে ফেলে নারীরা, হিজাব পোড়ায়, শ্লোগান দেয়, “আমার শরীর আমি মালিক, ঢাকা খোলা আমি শরীক”, ৪৬৯ জন পুলিশের গুলিতে হত্যা তার মধ্যে ৬৪ জন না বালক! পুলিশ মরে ৬১ জন, ভীত কেঁপে উঠে “খামেনেয়ী” সরকারের, প্রতিশ্রুতি দেয় আলোচনায় বসে! হিজাব বাধ্য বাধকতা তুলে নেয়ার সর্বাত্মক কথা বলেন! “নিয়ন্ত্রণ পুলিশ” বিলুপ্ত ঘোষণা করেন সরকার!
বাংলাদেশে গতকাল সেনা বাহিনী কে ম্যাজেস্ট্রসি পাওয়ার দিয়েছেন “ডঃ ইউনূস সরকার” তেমনি ইরানের নিয়ন্ত্রণ পুলিশ কে পর্দা দেখার জন্য Majestric power দেয়া ছিলো!
গত কয়েক দিন আগে “মায়শা আমীনীর” মৃত্যু বার্ষিকীর দিন সরকার হিজাব পরিধানের কড়াকড়ি তুলে নিলেন এবং পুলিশ কখনওই হিজাব look after করবে না! কি বর্বর নিয়ম ছিলো, আমার ধর্ম পালন, দেশের পুলিশ দেখাশোনা করবে! অথচ ধর্ম একটা বিশ্বাস তা ব্যক্তি বিশেষের ইচ্ছে অনিচ্ছায় পালন স্বাধীনতা থাকা মানব গনতান্ত্রিক অধিকার। আমি আপনি কেউ আল্লাহ ভগবান ঈশ্বর যীশুর কাউকে দেখি নাই, নিজের মনের বিশ্বাস এবং আন্তরিক শ্রদ্ধা না হলে আমল আসবে না এবং জোর করে ধর্মপালনের কোন ফলাফল আমার আমল নামায় লেখা হবে না! কুরআনের কোথাও গান শোনা হারাম লেখা নাই (মাওলানা জাহাঙ্গীর), পর্দা যা কুরআনে বলা আছে তা ছত্তর ঢাকা! আমরা হাদিস বানাতে বানাতে বার্ন ইউনিটে পোড়া মানুষ ব্যান্ডেজ করে ফেলি মুখ! নারী মানুষ, তা হিসাবে আনা হয় না! শিক্ষিতরা আরো বেশী গোমড়া!
প্রিয় পাঠক, মানুষ কি দিয়ে দেখে? সহজ উত্তর চোখ — আসলে মানুষ চেখ দিয়ে দেখে না, দেখো মন দিয়ে।
সে মন ইচ্ছে করলে হিজাব নেকাব বোরকা পরিধেয় শাড়ী ফেড়ে দেখতে পারে –+ একা বিছানায় বসে ও মনের মাইক্রোস্কোপে নারীকে দেখে পাপ কামাতে পারে —
নারী গাড়ী চালায়, বিমান চালায়, দেশ চালায়, কবি হয়, সাহিত্যিক, নোবেলজয়ী, বিজ্ঞানী হয়, মঙ্গল গ্রহে গেছেন”আলিসা”, তিনি জানেন আর ফিরে আসবেন না, নারী অন্ধ কবি “হেলেন কিলার” আমাদের বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ কে দেখতে এসে তার মুখ হাতরায় আস্ত রবীন্দ্রনাথ একে দিয়েছিলেন! নারী প্রথম কম্পিউটার প্রগ্রামার “আভা লাভলেস” কবি “বায়রনের মেয়ে!”
নারী আজীবন সারা বিশ্বে অবহেলিত! এইতো সেদিন যাদের সভ্য বলে মুখে ফেনা তুলি সেই ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে সম্ভবতঃ নারী রা ভোটাধিকার পেলন! ধর্ম হাতিয়ার ব্যবহার হচ্ছে নারীকে বাধতে! অথচ মুসলমানদের নবী করীম সঃ বলেছেন,”প্রথম স্হান মার, ২য় স্হান মার, ৩য় স্হান মার, ৪র্থ স্হান বাবার!” কুরআনে নারীপুরুষ সম অধিকার বলা হয়েছে আমরা স্বামীর পায়ের নিচে নারীর বেহেশতে হাদিস বানায় বসে আছি। নারীপুরুষ উভয়কে কুরআনে নিজেকে হেফাজত করতে বলা হয়েছে, সংযম করতে বলা হয়েছে, আমরা নারীকে কালো কাপড়ে মুড়ছি আর নিজে নারী মন ভরে দেখছি! পুরুষ বহুগামিতা দোষ নাই নারী একের অধিক পুরুষ নিলেই “বেশ্যা”! পুরুষ কেন বেশ্যা নয়!
মজার কথা, কোন কোন দেশে নারীকে খৎনা করানো হয়, সভ্য মিশরে পর্যন্ত। কারন হিসাবে জেনেছি, নারী more sexy than that of male তাই তার sex কমানো উদ্দেশ্য! অথচ আমাদের দেশে আরবী পড়া থ্রি ফোর সিক্স লেভেল দের বক্তব্য চারটা বিয়ে করা সুন্নত!
নারীকে সুখী করা কথাটা ই তাদের ডিকশনারী তে নাই!
আমি শত নারী ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার প্রফেসর কবি সাহিত্যিকে দীর্ঘ সাহিত্য জীবনে চিনেছি তাদের স্বামীরা কবিতা লিখলে কলম ভাঙে, খাতা ছেড়ে — বই ছাপতে দেয় না !!!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নারীরা ও মানুষ ভাবতে শিখেন!