সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন

কলাম:- বাঘে ঘাস খায় না!

Coder Boss
  • Update Time : বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩৪ Time View

লেখক:- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম

নবাব সিরাজুদ্দৌলার হত্যার পর তার লাশ শহরে বাজারে গ্রামে হাতির পিঠে রেখে ঘুরানো হয়েছিলো!১৭৫৭ সালে প্রধান সেনাপতি মীর জাফর হাজার ৩০/৩৫ সৈন্য ঠায় দাড় করায় রেখে ইংরেজের মাত্র ৩ হাজার ৪০০ সৈন্যর কাছে পরাজয় বরন করায় দিলো পলাশীর আম্রকানে যুদ্ধের ময়দানে!লর্ড ক্লাইভ তাকে নবাব হিসাবে সিংহাসনে বসালো! নবাব সিরাজুদ্দৌলার ছোট ভাই মির্জা মেহেদী কে হত্যা করা হল নির্মমভাবে! তার পরিবারের নিরাপরাধ প্রায় ৭০ জন নারী শিশু কে নৌকা ডুবিয়ে হত্য করা হলো! বাকীদের বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিলো! কারো কারো ভাগ্যে কবর জুটলো খুশ বাগে! এখন অবশ্য মাথায় প্রসাব করায়,
যাদুঘরে আগুন দেয়, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্ট্যাচু ভাঙ্গে, একটু উন্নতি হয়েছে!

সবাইকে হত্যা করা হলে ও নবাবের একমাত্র কিশোরী কন্যা জোহরা ও সহধর্মিণী লুৎফুন্নেছা কে প্রথম দিকে মুর্শিদাবাদে বন্দী রাখা হয়! মীর জাফর ও তদ্বিয় খুনি পুত্র মীরান আলাদা আলাদা ভাবে লুৎফুন্নেছা কে শাদির প্রস্তাব দিলে নবাব সিরাজুদ্দৌলার সহধর্মিণী বলেছিলেন, “বাঘে ঘাস খায় না”, তথ্য — ইংরজ ইতিহাসবিদ)”! ইতিহাস বিদ সৈয়দ গোলাম হোসেন বলেছেন, ” নবাব সিরাজুদ্দৌলার পত্নী বিয়র প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, “হাতির পিঠে চড়া মানুষ গাধার পিঠে চড়ে না!” পরবর্তী তে নবাব পত্নী কে ঢাকার জিন জিরা প্রাসাদে দীর্ঘ দিন মা-মেয়ে কে বন্দী রাখা হয়!

প্রিয় পাঠক, মীর জাফর আলি খাঁ কে লর্ড ক্লাইভ যখন নবাবের কুরসি তে বসতে আহ্বান করেন, মীর জাফর লর্ড ক্লাইভ কে বলেছিলেন, “আসুন সাহেব এক সাথে বসি!” এরপরে মীরজাফর তার ইংরেজ মান্যগন্যদের টেবিল ভাষনে বলেছিলেন, “প্রিয় ইংরেজ ভাইয়েরা, আপনারা সাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা বানিজ্য করেন, কোন ভয় পাবেন না, শত্রু সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে!” লর্ড ক্লাইভ তার এই বাক্যের পরে স্পষ্টেই বলেছিলন, “ভয় পাবো কেন, যে দেশের নবাবের প্রধান সেনাপতি বিশ্বাসঘাতক সে দেশে ভয় পাবার কিছু নাই”!

টিপু সুলতান যখন তার তরবারির আঘাতে ইংরেজ প্রায় খতম করে ফেলেছেন, জয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন তার প্রধান সেনাপতি “মীর সাদিক” বিশ্বাসঘাতকতা করে টিপুকে হত্যায় সাহায্য করে!

মেঘনাদ বধ কাব্য যদি পড়ে থাকেন, জানবেন, ইন্দ্রজিত যুদ্ধের আগে যুদ্ধ প্রস্তুতি হিসাবে জজ্ঞাগারে প্রবেশ করে যুদ্ধ সাজ পরে বের হতেন, তিনি মেঘের আড়ালে থেকে যুদ্ধ করতে পারতেন তাই তাকে মেঘনাদ নাম দেয়া হয়েছিলো। তাকে কেউ পরাজিত করতে পারতো না! বিশ্বাস ঘাতক চাচা বিভীষণ রাম কে তার এই গোপন তথ্য জানায় এবং রাম লক্ষ্মণ তাকে যুদ্ধ সাজের আগেই পথে আটকায়, পথ দেখানো চাচার সামনেই তাকে হত্যা করে!

এমনি যুগে যুগে বিশ্বাসঘাতক বেঈমান দ্বারা স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছে! মুজিব হত্যার ষড়যন্ত্র কারী ছিলেন তার বানিজ্য মন্ত্রী “খন্দকার মোশতাক আহম্মেদ” যিনি আগের দিন রাতর বাসায় খাবার টিফিন বক্সে বহন করে এনে মুজিব সহ পরিবার কে খাওয়ায় গেছেন, তার অনেক সহকারীর ভিতর প্রতি মন্ত্রী ওবায়েদুর রহমান একজন, তার সহধর্মীনি ঐদিন রাতের শেষ ইংরেজি নিউজ পাঠ করেন বাংলদেশ টেলিভিশনে! দেশের ক্ষমতায় এসে খন্দকার বাংলাদেশ কে মুক্তি যুদ্ধের চেতনা মুছে দিয়ে আইএসআই এর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে গেছেন ৮১ দিনের ক্ষমতায় থেকে ১৯৭২ এর সংবিধানের খোলনলচে পাল্টে দিয়েছিলেন, যার জন্য এদেশের ২০২৪ সালে এসে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল কর্ণফুলী টাওয়ার, পদ্মা ব্রিজ, পাতাল ট্রেন দেখতে হয়, যা হতে পারতো ১৯৮০/৮১ সালে! রাশিয়া তখন ই উন্মুখ ছিলো এমন কিছু করার, আজ হয়তো আমরা পারমাণবিক বোমার অধিকারী হতাম পাকিস্তান বা ইরানের মত!

বাংলাদেশ এখন চলছে উষ্ট্রর পিঠে, ক্ষমতার বাইরে থাকলে এক কথা, ক্ষমতায় বসে অন্য সুর! নির্লজ্জ নির্জলা মিথ্যা কথা, দেড় মাস সরকারের বয়স, আশাহত অধিকাংশ মানুষ! বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগ নাই, চাঁদাবাজি বন্ধ নাই, জীবনের নিরাপত্তা ফেরে নাই,গতানুগতিক ভারত বিরোধী আবার ভারত প্রীতি, মহিলা একজন মন্ত্রী বললেন,”ইলিশ মাছ ৩০০০ টন উপহার না রপ্তানি, বৈদেশিক মুদ্রা আসবে ছোট করে দেখবেন না! ” ভাব খানা গত স্বৈরশাসক ১৫ বছর সব উপহার পাঠিয়েছেন! এমনি কুয়াশাচ্ছন্ন ভাষা শুধু মাত্র নির্লজ্জ কাণ্ডজ্ঞানহীন লোক বলতে পারে যারা বাঙালি কে ভেড়া মনে করে, কোন গুনগত কারনে ডঃ নোবেলজয়ী ইউনূসের পরিষদে এরা জায়গা পেয়েছেন
স্বয়ং আল্লাহ বলতে পারবেন! এমনি আমদানি করা সবার অবস্হা এমন ই, কেউ এক লাইন ইংরেজি জানে না তো কেউ বলেন,” অপেক্ষা করে দেখতে থাকেন, দেশ আমাদের হাতে না, ছাত্রদের হাতেও না দেশের হাতে ও না!
কেউ বলছেন, বিদ্যুৎ ঘাটতির কারন, “এক বিল্ডিং এ ১৬ টা এসি!” ইহা রাও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পড়াতেন আর ২৬ লক্ষ ভারতীয় বাংলাদেশে চাকুরী করে বলে বক্তৃতা দিয়ে বেড়াতেন! জানেই না বাংলাদেশের কত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বন্ধ হয়ে গেছে?

ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।
রোজ যার যার ধর্মগ্রন্থের তর্জমা শোনেন, সব ধর্ম মানবতাকে উচ্চে স্হান দিয়েছে, ধর্ম সাইন বোর্ডে ব্যবসা বলে নাই কোন ধর্মে!

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102