লেখক:- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
----------------------------
অতীতের সবসময়ের চেয়ে বিশ্ব এখন যুদ্ধ রত অবস্থায় সবচেয়ে বেশী ব্যস্হ! কমপক্ষে ২৭ টা দেশে যুদ্ধ চলছে! চোখে পড়ে শুধুমাত্র ইউক্রেন রাশিয়া ও ফিলিস্তিন ইসরায়েল! এছাড়া ইথিওপিয়া সিরিয়া সোমালিয়া কোরিও উপদ্বীপ কঙ্গো নাইজেরিয়া মালি সুদান সহ অনেক দেশ!
হামাস ইসরায়েল যুদ্ধ এখন ছড়িয়ে গেছে লেবানন ইয়েমেন বাহরাইন ইরাক এবং ইরান!
Visible war ছাড়া আছে কিছু সাধারণ মানুষের অজানা invisible war যেমন -- চীন যুক্তরাষ্ট্রের বানিজ্য লড়াই, রাশিয়া চীনের সাথে পশ্চিমাদের সমরাস্ত্র লড়াই, অর্থনীতি প্রযুক্তি লড়াই! রাশিয়া তৈরি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ও চীনের তৈরি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের থেকে প্রায় ২৩গুন গতি সম্পন্ন যা সাপের মতো এঁকেবেকে সব বাঁধা অতিক্রম করে অতি নিচু অতি উচু দিয়ে চলে রাডার দৃষ্টি এড়িয়ে গন্তব্যের ঠিক জায়গাটায় আঘাত করতে সক্ষম!
ইরান ইজরায়েলে চার শত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে! ইসরায়েল হামাসের ৩০ বছরের কমান্ডার ইসমাইল হানিয়া ও লেবানন ভিত্তিক যোদ্ধা হিযবুল্লাহর ৩০/৪০ বছর নেতৃত্ব দানকারী নাসরুল্লা কে মাস ব্যবধানে হত্যা করলো যা বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম কে কাঁদিয়েছে! ইরান ইসরায়েলকে প্রতিশোধ হামলার আগে ইসরায়েলের মুরব্বি আমেরিকা কে জ্ঞাত করেছে! এখন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এমনটা ঠিক হয় নাই! তারা ইসরায়েল কে আরও অস্ত্র গোলাবারুদ কিনতে অর্থ দিবে বলে জানিয়েছে। সাথে আছে জারি গানের দোহার, যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়া জাপান ইউরোপীয় কমিশন ইত্যাদি! ইরানের সাথে আছে বরাবরের মত গরীবের পুষ্টি মাছ গোশতের বদলে মুগ ডাল, রাশিয়া! এশিয়ায় যে কোন দেশ আক্রান্ত হলে রাশিয়া আছে তার সাথে মুসলিম অমুসলিম ভেদাভেদ ফেলে! সেজন্য ই ইউক্রেন কে অস্ত্র অর্থ দিয়ে রাশিয়ার মাজা ভাঙার চেষ্টা !
মোট কথা বিশ্ব মোটামুটি তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ সাজে সজ্জিত! কার হাতে কত পরমাণু অস্ত্র আছে সে হিসাব বার-বার নাই-বা দিলাম! বিশ্বে যুদ্ধ লাগানো, রক্তের গঙ্গা বহায় দিতে অস্ত্র বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হুশিয়ার, সব কিছুর পরিকল্পনাবিদ পশ্চিমা বিশ্ব এবং রেফারি একজন! তাদের অর্থনীতি WAR economy ! অনেকটা ভূরাজনৈতিক কড়াইতে
দুর্বল রাস্ট্র গুলোর মাংস ঝলসানো! চোরকে বললো চুরি করো গৃহস্ত কে বললো সজাগ থেকো! খাবার কেনার থেকে অস্ত্র কিনতে ব্যস্হ সব দেশ! এমন কি হতদরিদ্র আফ্রিকান দেশগুলো এর বাইরে নয়!
নিষেধাজ্ঞা অস্ত্র, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, N A T O , বিশ্ব একক মুদ্রা ডলার সবই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে এমন কি নোবেল পুরস্কার টা ও মার্কিন বলয় মুক্ত নয়! এশিয়ার দেশগুলোর
শান্তি সম্প্রীতি ও মার্কিন নজরদারি এড়াতে পারে নাই। ভারত চীন, বাংলাদেশ পাকিস্তান, পাকিস্তান ভারত অহেতুক শত্রুতা বলা যায়! যে সব সমস্যা মোড়ল ছাড়াই মিটানো সম্ভব!
বিশ্বের ছোট দেশটার (বাংলাদেশ) অপরিনামদর্শী সরকার পতন ঘটাতে বহুত কৈশিশ করতে হয়েছে যেমন টা সহজে পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা হেটে যেয়েই সরকার পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছে! সারা এশিয়া এখন আতঙ্কে, আতঙ্কে মুসলিম বিশ্ব! দু'দিন আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়ায় শ্বাস নেয়ার জায়গা ছিলো না, ইতিমধ্যে হাসিনা পতনে ভারত আমেরিকা সফর করে স্কোয়াড বড় লীডার সেজে এসেছেন -- এখন ভারত মহাসাগরে মার্কিন অবাধ বিচরন নিশ্চিত হয়ে গেছে, দু'দিন আগে ও মোদি বাবু রাশিয়া গেছেন মার্কিন নিষেধ অমান্য করে, সৌদি আরব আমীরাত ভীত কি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে, আবার কি ডলার চুক্তি করতে হবে যা করে নাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গোয়ার্তমি করে এশুয়াকে সমৃদ্ধশীল করতে BRICS তৈরি তে মধ্য প্রাচ্যের ধনী দেশগুলোর বড় ভুমিকা ছিলো, বাংলাদেশ এবার হয়তো অন্তর্ভুক্ত হতো BRICS এ ! পাঠক, এটা আমার বিষয় না --- তবুও বললাম যা বাংলাদেশের ১০% লোকের ও I Q তে ধরবে না হয়তো!
আসুন একটা নতুন নাটক শেয়ার করি! জাতিসংঘের সেক্রেটারি আন্তোনিও গুতেরেস ২০২৪ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রায় "নরওয়ে নোবেল কমিটি" চূড়ান্ত করে ফেলেছেন! সমালোচক রা বলছেন, "সাম্প্রতিক বিশ্ব একটা অনন্য রণক্ষেত্র, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করলো প্রায়, গাজায় ইসরায়েল ৪১ হাজার মুসলিম হত্যা করে যুদ্ধ বিস্তারিত হলো লেবানন সিরিয়া ইরাক ইয়েমেন বাহরাইন ও ইরান, অতএব, জাতিসংঘ সেক্রেটারির সেচ্ছায় পদত্যাগ মানবতার দাবী! গুতেরেস বিশ্ববাসীর শান্তির জন্য কাজ করে না, তিনি পশ্চিমাদের পুতুল মহাসচিব তাই জাতিসংঘের নামটা জাতিসংঘ পরিবর্তন করে পশ্চিমা সংঘ দেয়া হলে বাকী বিশ্ব জাতিসংঘ নামক কাগজে বাঘের মশকরা থেকে রেহাই পাবে, মার্কিন আশীর্বাদ পুষ্টরা শান্তিতে নেবেল পায় বিধায় তাকে নোবেল পুরস্কার মনোনীত করেছে নরওয়ে নোবেল কমিটি!"
অতএব, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বেশ কিছুটা একজন রাষ্ট্রের অনুগত হলে পাওয়া সহজ হয়ে যায় বলে কোন কোন সমালোচক নিউজের পাশেই মন্তব্য করেছেন!