লেখক:- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ পাকিস্তান পারমানবিক চুক্তি চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানী অধ্যাপক ডঃ শহীদুজ্জামান (ইনকিলাব)! তিনি দঃ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব বলয় বন্ধ করতে এমন চুক্তির উপর জোর দিয়েছেন!
ওমা, সে কি কথা? পাকিস্তান কাউকে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে দিয়েছে শুনি নাই তো, তারা আমাদের কিভাবে nuclear weapons গড়ে দেবেন? আমাদের “তিস্তা রিজার্ভার” করে দিতে চীন এক বিলিয়ন লোন দিয়ে কারিগরি সাহায্য চুক্তি করেছিলেন ২০১৮ সালে!পাকিস্তানের তো এক কেজি আটা কিনতে ৮০০ টাকা লাগে, তা হলে আমাদের পরমাণু অস্ত্র কিভাবে গড়ে দেবেন! নাকি বাংলাদেশ বর্তমান সরকারের যথেষ্ট রিজার্ভ আছে পরমাণু অস্ত্র সহায়তা পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে নেয়ার! তিনি চীনের কথা কেন বললেন না? কারো সাথে যুদ্ধ লাগলে পাকিস্তান আমাদের কি সাহায্য করবে, যতবার যুদ্ধ হয়েছে ভারতের সাথে, নিজেদের ই তো রক্ষা করতে পারেন নাই পাকিস্তান! এসব বাঘের লেজে কান চুলকানো বাদ দেন, ইউক্রেন ইতিহাস পড়েন! লেগে যান, কেউ কারো না!
পাকিস্তানের পরমাণু “প্রকৌশলী সালাম স্যার” নেদারল্যান্ডস ডক্টরেট গবেষণায় যেয়ে পরমাণু ফর্মুলা হাতে পেয়ে পড়াশোনা ছেড়ে চলে এসে পাকিস্তানে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেন। তার ফল তো তাকে পাকিস্তান পুরস্কৃত করেছে ১০ বছর জেলে রেখে মেরে!
পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর
বাই চান্স, সালাম স্যারের মরার বর!”
প্রিয় পাঠক, একজন অপরিনামদর্শী দুর্নীতি প্রশ্রয় দানকারী ঢিলেঢালা প্রশাসনিক মানসিকতার নির্বোধ শাসক দেশ থেকে পলায়নের পর কত যে বিড়াল কে গাছে উঠতে দেখলাম তা ভাষায় বর্ননা করা যায় না!
গত শাসক ভারতের সীমাবদ্ধতা কখনও
ব্রেইন স্টোর্মিং করেন নাই। বাংলাদেশে চীনের ঋণ প্রায় ৮ বিলিয়ন, রাশিয়া ৫ বিলিনের মত, এডিবি জাপান ৫/৭ বিলিয়ন সেখানে ভারত মাত্র ১ বিলিয়ন!
ভারত বিশ্বের ৬ ষ্ঠ শক্তিধর দেশ, যার রিজার্ভ মানি ৬৮৯ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের ৩/৪ বিলিয়ন যা ২/৩ দিনের আমদানি মানি সমান, চীনের ৪.৩৪ ট্রিলিয়ন (পাকিস্তান থেকে কম ভেবে বসেন না, ট্রিলিয়ন বিলিয়ন ফারাক টা বুঝেন)! ১৯৬২ সালে ভারতের সাথে যুদ্ধ করে চীন কাশ্মীরের ২৫% জায়গা নিয়ে গেছে! লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ঠেকাতে পারেন নাই! সেই চীনর সাথে বন্ধুত্ব নয় কেন পাকিস্তান আমাদের ঠেকাবে কিভাবে? নাকি আপনারা যাকে দেবতা বলেন তারা চীনকে ও পছন্দ করে না!
ভারত কে আমরা এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জ্ঞানী গুনির অধ্যাপকের মত সুর মিলায় “আগ্রাসী” বলতে পারি না। উনি ইতিহাস হয়তো জানেন না! বলবেন এত বড় ধৃষ্টতা — হ্যা একটু ধৃষ্টতা দেখাতে হলো!
১৯৬৫ সালে পাকিস্তান ভারত যুদ্ধে পূর্বপাকিস্তান সম্পূর্ণ অরক্ষিত ছিলো, কয়টা থ্রি নট থ্রি রাইফেল ছাড়া কিছু ছিলো না! ভারত ইচ্ছে করলে পূর্ব পাকিস্তান নিয়ে যেতে পারতো মাত্র হাজার খানেক সেনা ও গোটা দশ ট্যাংক পাঠায়ে! নেয় নাই, —- পশ্চিম পাকিস্তানের কয়েক হাজার মাইল ভিতরে ঢুকে প্রতিরোধ হীন পতাকা উড়িয়েছে! অরক্ষিত পূর্ব পাকিস্তান বলে “মুজিব’ ভোট বাড়িয়েছেন এবং ৬৯ এর গন অভ্যুত্থান করে আইয়ুব খান কে তাড়িয়েছেন!
১৯৭১ সালে মুজিবের এক কথায় ইন্দ্রা গান্ধী মাসের ভিতর সৈন্য নিয়ে গেছেন! মুজিবের ভয় ছিলো, “এক দখলদার তাড়িয়ে আর এক দখলদার না মাথায় চড়ে? ১৯৭১ এ ও ভারত আমাদের পক্ষে পাকিস্তানের ১৫/২০ হাজার মাইল অভ্যান্তরে ঢুকে পড়েছিলো! কাজেই পাকিস্তান ভারত থেকে আমাদের রক্ষা করবে কি ভাবে বরং চীন কে বলেন, তার সাথে চুক্তি করেন পরমাণু অস্ত্র সহ আরো অন্যান্য চুক্তি!
জানি আপনার আক্রোশ শুধু ভারতের উপর নয় বরং রাশিয়া যুগোস্লাভিয়া পোল্যান্ড যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতায় গনহত্যা বন্ধের চেষ্টা করেছিলেন! আপনি এখন যে ৩২৫ জন হত্যা কে গন হত্যা বলেন এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার তদন্তে এসে বসে আছেন তখন ৩০ লক্ষ হত্যা কে তারা গন হত্যা বলেন নাই, বরং বার বার স্বাধীন বাংলাদেশ নয়, যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব এনেছেন এবং রাশিয়ান ভেটো তা ভন্ডুল করে দিয়েছে বলেই আপনি ” “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক!” বাংলাদেশ কখন ও ভারতের সেভেন সিস্টার্স ছিলো না আগামী তে কোন পরাশক্তির কোলানী যদি কেউ পলাশীর অম্র কাননের মত বিশ্বাস ঘাতকতা করে বৃটিশদের হাতে তুলে দেয়ার মত না করেন!
১৯৭১ সালে ভারত ইচ্ছে করলে বাংলাদেশ নিয়ে নিতে পারতো! ইন্দ্রা গান্ধী এমন অসভ্য ছিলেন না!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন!