লেখক:- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।।
বিশ্বের পরাশক্তির রোষানলে পড়ে অনেক দেশ পেটের ভাত রেখে অস্ত্র গোলাবারুদ কিনতে বাধ্য হচ্ছে! বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তার পরমাণু অস্ত্র বেশী, পরমাণু সজ্জিত সাবমেরিন বেশী, যুদ্ধ বিমান বেশী, ট্যাঙ্ক সাজোয়া বেশী, অর্থ-বিত্ত বেশী এবং বুদ্ধি জ্ঞান কূটনীতিক ঠান্ডা যুদ্ধের সাথে নিষ্ঠুরতা বেশী! তার হাতে আছে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিভাগ, নিরাপত্তা বিভাগ, আন্তর্জাতিক আদালত এবং "নি ষে ধা জ্ঞা" অস্ত্র ব্যবহার যন্ত্রতন্ত্র! ইউরোপ কে নিয়ে গঠিত লাঠিয়াল বাহিনী NATO.
মার্কিন এশিয়া আফ্রিকার কাছে ঘৃণিত একটা নাম তবে ইউরোপীয়দের প্রিয়। এশিয়াকে বিভেদ বিভক্তি তার বড় কৌশল!
মার্কিন অর্থনীতি হচ্ছে "WAR ECONOMY",
ব্যবসার প্রধান ম্যাটেরিয়াল হচ্ছে "ARMS AMMUNATIONS" ! একশত দুই বছর বয়সে জীবিত ১৯৭১ সালের বিশ্ব পরিচিত মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী "হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন," কেউ চিরস্থায়ী বন্ধু বা শত্রু না, স্বার্থ হচ্ছে চিরস্হায়ী"!
প্রিয় পাঠক, মার্কিন রোষানলে পড়লে তাকে খেসারত দিতে হবে, "আজ হোক কাল হোক "!
ধরুন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ স্বাধীনতার দল আওয়ামী লীগ! ১৯৭১ সালে " মুজিব" কে ৭ ই মার্চ রেসকোর্সে ভাষন দেয়ার আগে মার্কিন ততকালীন কনসুলেট "আর্চার ব্লাড" দেখা করে বলেছিলেন, " America does not want to be seperated East Pakistan from West".
এ কথা শুধু "মুজিব" জানতেন!
বঙ্গবন্ধু যখন ৭ ই মার্চে রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক রহস্য ময় ভাষন দিয়েছিলেন! তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা পরোক্ষভাবে করেছিলেন যাতে পাকিস্তানি সেনারা রেসকোর্সের চারিদিকে সজ্জিত মেশিনগানে অমৃতস্বরে বৃটিশ হত্যাকান্ডের পুনরাবৃত্তি রেসকোর্সে করতে না পারে! তিনি স্বাধীনতার বন্দুক টা ইয়াহিয়া ভুট্টার ঘাড়ে রাখতে চেয়েছিলেন আবার স্বাধীন বাংলাদেশ ও চেয়েছিলেন! ! ২৫ শে মার্চ "অপারেশন সার্চ লাইটের" নামে গনহত্যা তাকে সে সুযোগ দিয়ে দিলো!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেগোসিয়েশন হতে পারতো মুজিব কে ক্ষমতা হস্তান্তর করানো। হয়তো মুজিব আকাশ চুম্বি জনপ্রিয়তা ২/৩ বছরে শেষ হয়ে যেতো এবং পাকিস্তান সরকার নির্বাচন দিয়ে জামাত মুসলিম লীগ সহ সমমনা ১৩ দল মোর্চা করতে পারতো এবং জয়লাভ করে ক্ষমতায় যেতে পারতো, মরতো না ৩০ লক্ষ বাঙালি, যেতো না ৪ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত, দ্বিখণ্ডিত হতো না ধর্মের নামে বৃটিশ থেকে স্বাধীনতা নেয়া পাকিস্তান নামক দেশ! উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালে মুজিব জনপ্রিয়তা হারিয়ে ছিলেন, তার সংগঠন ছাত্রলীগ সব কলেজ গুলোতে হারা শুরু হয়েছিলো। প্রথম হেরেছিলো খুলনা দৌলতপুর বিএল কলেজে! তড়িঘড়ি করে সাধারণ নির্বাচন না দিলে আরও বছর গড়ালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারাতো!
প্রিয় পাঠক, মার্কিন ডিকশনারী তে মানবতা মনুষ্যত্ব ফেক একটা শ্লোগান। তারা সব সময় নিষ্ঠুরতম পথটা বেছে নেন! বিশ্বে গনতন্ত্র ও তাদের আর একটা মিথ্যা অস্ত্র! বাংলাদেশ স্বাধীন করার প্রতিশোধ নিলেন ১৯৭৫ সালে "মুজিব" কে হত্যা করে! স্বাধীনতায় জড়িত সবার প্রতিশোধ নিলেন সময় ক্ষেপণ করে। ১৯৮১ তে ইন্দ্রাগান্ধী হত্যা, ১৯৯০/৯১ সালে সোভিয়েত ভেঙে ১৫ টা দেশ বের করে দেয়া, মিথ্যা বলে NATO জীবিত রেখে ও "মিখাইল গর্বাচভ" কে দিয়ে WARS জোট ভেঙে দেয়া। বাংলাদেশ স্বাধীনতায় যুগশ্লাভিয়ার মার্শাল টিটো বাংলাদেশ পক্ষে ছিলেন ততপর, ১৯২২ সালে যূগোশ্লাভিয়া ভেঙে বসনিয়া বের করে দেয়া,
রুমানিয়ার সমাজতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটিয়ে পথের মধ্যে প্রেসিডেন্ট চষেক্কুকে গুলি করে হত্যা ---
এমনি ৮০ দশকে গোটা ৫০ দেশে গনতান্ত্রিক সরকার হটিয়ে সামরিক সরকার বসানো নিষ্ঠুর কর্মগুলো পরাশক্তির প্রধান মার্কিন করেছে! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা পরামানিক অস্ত্র ব্যবহার, আজ পর্যন্ত গোটা ৭/৮ ছোট দেশগুলোর সাথে যুদ্ধে জড়ানো, মানব প্রাণহানি, আজ-ও ফিলিস্তিনে ইসরায়েল হত্যার নিষ্ঠুরতম আচরনের পিছে ও মার্কিন মানবতা কাজ করছে!
পাকিস্তানের ইমরান, শ্রীলঙ্কার রাজা কাপাস, বাংলাদেশের হাসিনা সব ই মার্কিন রোষানল!
তবে বাংলাদেশের পেক্ষাপট ইতিহাস না জানা অবিবেচক অপরিনামদর্শী দুর্নীতি প্রশ্রয় দানকারী ঢিলেঢালা প্রশাসনিক মানসিকতার নির্বোধ ব্যক্তিটি নিজেই ঢেকে এনেছেন যা ছিলো সম্পূর্ণ অসম্ভব। বাইডেন স্যার সেলফি তুললে বন্ধু হন এমন ভাবা মানুষের কপালে এটা ই যোগ্য শাস্তি। জনগনের থেকে দূরে না যেয়ে গনতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় না রেখে এমন দিন ডেকে এনেছেন তিনি নিজে, দেশ তথা এশিয়া ও আরব বিশ্বকে তিনি শেখ হাসিনা একটা বিপদে ফেলেছেন যারা একটু বুঝেন তাদের মস্তিষ্ক পালস দিবে।
"বাঘের লেজে কান চুলকানো" ভারতের মোদিও দ্রুত বুঝবেন কারন তার রাশিয়া প্রীতিতে মার্কিন অস্তোষ আছে এবং গত তিন বছর তার সেভেন সিস্টার্স এ অগণতান্ত্রিক আচরন বিশেষ করে মণিপুর রাজ্যে উপজাতি নিপীড়ন তাকে সেভেন সিস্টার্স হাত ছাড়াও করে দিতে পারে, ছিটকে ফেলতে পারে ক্ষমতা থেকে
মার্কিন এসব সুযোগ খোঁজে --- যথাযথ ব্যবহার করতে ভুল করে না! মার্কিন রোষানলে পড়বেন, নিজ জনগণের বিরাগভাজন ও হবেন আবার নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবেন ---
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।