————————
০১- দেশের জন্য দিতে পারি প্রাণ
দেশের জন্য দিতে পারি প্রাণ,
এই মাটির জন্য সর্বস্ব ত্যাগ,
মায়ের আঁচল, জন্মভূমির টান,
আমার রক্তে মিশে আনে উজ্জ্বল স্নেহের আগ।
এই দেশ আমার, এই পতাকা,
স্বাধীনতার প্রতীক, গর্বের মান,
যে মাটিতে জন্মেছি আমি
সেই মাটিতেই হবে প্রানের বিসর্জন।
শত্রুর চোখে চোখ রেখে বলি,
আমরা থামি না কোনো বাধায়,
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও
আমরা লড়ি, দেশের জন্য জীবন দেয়ায়।
প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা,
এই মন্ত্রে জ্বলছে হৃদয়ের আগুন,
দেশের জন্য হাসিমুখে দেবো সব,
আমরা জাতির সাহসী যোদ্ধার দল।
দেশকে ভালোবেসে এগিয়ে চলি,
এই মাটি, এই আকাশের ডাক শুনে,
আমরা ত্যাগ করব নিজের সবকিছু
মায়ের হাসি ধরে রাখতে প্রাণ দিয়ে।
————————-
০২- মানুষের মন বড় সাথপর
মানুষের মন বড় সাথপর,
যখন থাকে সুখের পরশ,
আসে পাশে সবাই ঘিরে,
কাছে এসে বলে অনেক কথা,
প্রেমের গল্প, বন্ধুত্বের আড়াল।
কিন্তু যে ক্ষণ বেদনার ছায়া,
অন্ধকারে ডুবে মন,
সবার মুখে আসে অন্য ভাষা,
নীরবতায় ঢেকে যায় সব সুর,
প্রত্যেকেই থাকে দূরে দূরে,
হৃদয়ের কথা আর কেউ শুনে না।
মানুষের মন বড় সাথপর,
প্রয়োজনে থাকে পাশে,
অপ্রয়োজনে ভুলে যায়,
দুঃখের বেলায় থাকে নিরবে,
যেন কোথাও ছিল না কোনো কথা,
কোনো বন্ধুত্ব, কোনো সাথ।
তাই জীবনের পথে হাঁটতে গেলে,
নিজের মনকে শক্ত কর,
সবার মাঝে থেকেও বোঝ,
কোনো সম্পর্কই নয় চিরস্থায়ী,
মানুষের মন বড় সাথপর।
———————
০৩- মরণ কেন ডাকে আমায়
মরণ কেন ডাকে আমায়,
অজানা সেই পথের ঠিকানা,
তবুও কেন করে আহ্বান,
আবার আবার মনে জাগায়,
চুপচাপ থেকে যায় না কেন?
জীবনের গল্প লিখতে চেয়েছি,
আলোর মাঝে খুঁজেছি আশা,
কেন মরণ ছায়ার মতো আসে,
আমার সুখের পরশ কাড়তে?
সে কি চায় আমায় নিবিড় করে,
অন্ধকারের পথে হারাতে?
মরণ কেন ডাকে আমায়,
আমি তো চাই বাঁচতে,
তুমি কেন এতো ব্যাকুল,
আমার জীবন থামাতে?
জানি, তুমি চিরন্তন,
তবু কেন এত তাড়া করো?
তুমি কি জানো না,
জীবন এখনো অসমাপ্ত,
অনেক কিছু বাকী রয়ে গেছে,
আমার স্বপ্ন, আশা, ভালোবাসা,
সেসব কি তুমি বুঝতে পারো না?
তবুও মরণ ডাকে আমায়,
তার নিঃশব্দে ছোঁয়া লাগে মনে,
আমি কি পিছু ফিরব, না এগোব,
কোন পথে যে যাবে মন?
মৃত্যুর ডাকে সাড়া দেবো কবে,
তার অপেক্ষায় বেঁচে আছি আজও।