লেখক: ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
আজ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর মাজারে গেছেন। দুঃখজনক হলে-ও সত্যি ১৯৭৫ সালে জাতির জনক হত্যার পর যারা প্রতিবাদী ছিলেন সেই কাদের সিদ্দিকী, আওরঙ্গ লিয়াকত সবাই শেখ হাসিনা প্রশাসন কতৃক নির্যাতিত অপমানিত হয়েছেন! ব্যক্তি "বিগত প্রধানমন্ত্রী" সামান্য স্বার্থ ছাড়তে পাড়েন নাই! খালাতো ভাই "ইলিয়াসের" ছেলে লিটনকে সাংসদ করতেই হবে তাই বছর ২০ জেল খাটা আওরঙ্গ আওয়ামী নমিনেশন পেলেন না! স্বতন্ত্র দাড়িয়ে সাংসদ হলেন, সেটা ও তার দোষ হিসাবে নিলেন, তার জনসমর্থন হিসাবে বুকে টেনে নিলেন না! আপনারা হয়তো জানেন বোম মেরে আওরঙ্গ সেনা হত্যা (১৯৭৬) মামলায় জেল খেটেছেন দীর্ঘ দিন!
বাংলাদেশে ভারতে না যেয়ে যে কয়জন মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার (প্রায় ১১ জন) দেশের ভিতর মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করে, ট্রেনিং দিয়ে বিরাট বাহিনী করেছিলেন এবং পাকিস্তান সেনা কে গ্রাম শহর নদীপথে নাস্তানাবুদ করেছিলেন তাদের মধ্যে বঙ্গবীর অন্যতম। তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনা আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সেকেন্ড ইন কমান্ড এ কে খন্দকারের সাথে! ৯৩ হাজার পাকিস্তান সনাকে কেন বাঙালি প্রতিশোধ নিতে ফুলের টোকা না দিতে পারে সে দায়িত্ব পান সেক্টর কমান্ডার হুদা! কাদের সিদ্দিকী অধীনে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মুক্তি যোদ্ধা যুদ্ধ করেছিলো! এমনি গোপালগঞ্জের হেমায়েত (সাড়ে পাঁচ হাজার) বরিশালের কুদ্দুস (সাড়ে চার হাজার), ইত্যাদি! যেমন মুজিব নগর সরকার Z force (জিয়া ফোর্স) , K force, (খালেদ ফোর্স)
S force (সফিউল্লাহ ফোর্স) ইত্যাদি করেছিলেন তেমনি ভিতরে ছিলো কাদের বাহিনী, হেমায়েত বাহিনী, কুদ্দুস বাহিনী ইত্যাদি। Z force, K force S force এগুলো ছিলো ১১ সেক্টর এর বাইরে দায়িত্ব।
দূঃখীত বন্ধুরা আমি লিখতে গেলে আর্টিকেল হয়ে যায়!
কাদের সিদ্দিকী কেন শেখ হাসিনার রোষানলে পড়লেন?
তিনি দাবী করেছিলেন "একটা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের! ", এদেশে কি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় হয়েছে? তিনি সবশেষে যাকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি আহম্মকের রাজা।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে ২০০১ সালের ২৩ শে অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয় সম্ভাবত!
রাজাকে রাজনীতি জানতে হয়। দেশের প্রধান কে সহনশীল স্বার্থ বিবর্জিত স্বজন প্রীতি মুক্তি উদার মনের হতে হয়!
আমার লেখার ভুল বোঝাবুঝিতে অনেকের গালি খাই!
আমি লিখলাম, " খন্দকার মোস্তাক মুজিব কে হতয়ার পর মাত্র ৮১ দিন রাজত্ব কালে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আরো দিন রাস্ট্র ক্ষমতায় থাকলে অনেক সংস্করণ করে যেতে পারতেন! মোস্তাকের বড় ভুল ছিলো, "মেজর জিয়াকে সেনাপ্রধান করা"!
ক্ষেপে গেলেন ঢাকা/প্রবাসের বেশ কিছু বিএনপি মিডিয়াম নেতা! আমার এলাকার সবাই পুরো পড়ে দেখে না তাই দু'জন কৈফিয়ত চেয়েছেন মাত্র!
আসলে আওয়ামী লীগ মেজর জিয়াকে " রাজাকার" বলতো, যুদ্ধ করেন নাই বলতো, তা ছিলো বাত কি বাত! মেজর জিয়া মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন তা আমি আমার ঐ বাক্যে বুঝিয়াছি। খন্দকার মোস্তাককে দীর্ঘ পাঁচ বছর যিনি জেল দিয়েছেন তিনি জিয়া এবং তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে যে সূক্ষ্ম সূতার টান ছিলো "জাতির জনকের" পরে তার প্রতিশোধ নিয়েছেন "মোস্তাক কে" জেলে পুরে এবং পরবর্তী মরার আগ পর্যন্ত গৃহবন্দী আদালত রায়ে। এসব জিয়া পন্হী দের অজ্ঞতা হেতু কখনও তুলে ধরতে পারেন নাই!
আমার সূক্ষ্ম ইঙ্গিত এবং আর্টিকেল না বুঝে আমার পরে অনেকে গোস্বা করেছেন তখনকার সময়। দারুন বাপমা তুলে গালি ও শুনেছি ফোনে।
প্রিয় পাঠক, মানুষের I Q স্তর ( understanding capacity level) নির্ভর করে কার কথা কে কি ভাবে বুঝবেন? একজন লেখক বাড়ী বাড়ী যেয়ে বুঝায় আসতে পারবে না! লেখক পাঠক স্তরের ভারসাম্য বেশ দূরত্বে হলে একে অপরকে বুঝতে পারবেন না!
প্রিয় পাঠক, আজ যখন কেউ নাই আওয়ামী দূঃহ শাসনের জন্য, তখন সেই কাদের সিদ্দিকী আজ টুঙ্গিপাড়ায়! ৩২ নাম্বার ধানমন্ডি উথালপাতাল অবস্হার ভিতর যেয়ে গাড়ী ভেঙেছেন!
আমরা ইতিহাস থেকে শিখি না। কিন্তু ইতিহাস সব মনে রাখে, দু'শ বছর পরেও সত্য জানা যায়। সেদিনের গ্রীস সরকারের রোষানলে পড়ে হেমলক পানে হত্যা হওয়া অশিক্ষিত ফ্লোর টাইলস মিস্তিরি আজ সারা বিশ্বের সন্মানিত দার্শনিক! এরিস্টটল প্লুটোর মত উচ্চ শিক্ষিত লোকেরা তার শিষ্য, তার নীতি আদর্শ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন! আপনার আমার সন্তান এরিস্টটল গবেষণা করে পিএচডি করছে! আগুন কাপড়ে বাঁধা যায় না!
ভালো থাকেন সুস্হ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।