মোঃ আবদুল্লাহ, বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান ডক্টর মোহাম্মদ সোলায়মান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন।
ড. মোহাম্মদ সোলায়মান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। নবীন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তিলে তিলে আজকের অবস্থান নিয়ে এসেছেন তার অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা, বুদ্ধিদীপ্ত সহযোগিতার মাধ্যমে। বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে একজন শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক ডক্টর সোলায়মান। মালয়েশিয়ার স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট সম্পন্ন করে এসে গবেষণা এবং লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এপর্যন্ত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জার্নালে বেশ কিছু প্রকাশনা প্রকাশিত হয়েছে ড. মোহাম্মদ সোলায়মানের। পাশাপাশি তিনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য মার্কেটিং বিষয়ের পাঠ্য বইয়েরও রচয়িতা। সর্বশেষ তিন বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ অন্যতম দেশ সেরা মার্কেটিং বিভাগের সম্মাননা পেয়েছে।
ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বুড়িচং উপজেলার খাড়াতাইয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্য গ্রহণ করেন। তাঁর গর্বিত পিতা বুড়িচং আনন্দ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মরহুম আব্দুল হাফিজ বিএসসি। তাঁর সহধর্মিনী জনাবা সেলিনা আক্তার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ। তাঁর এক ভাই ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছোট ভাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ডাক্তার এবং আরেক ভাই একটি কলেজের শিক্ষকতা পেশায় জড়িত রয়েছেন।
বর্তমানে ডক্টর মোহাম্মদ সোলায়মান বুড়িচং উপজেলার খাড়াতাইয়া ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে শিক্ষা উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। ডক্টর মোহাম্মদ সোলায়মান অনেকগুলো সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে সমাজ উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তিনি বুড়িচং ওয়েলফেয়ার সোসাইটি,ঢাকা-এর উপদেষ্টা, বুড়িচং উপজেলার মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক সংগঠন ‘অর্গানাইজেশন ফর স্টুডেন্টস অ্যাডভান্সমেন্ট (উষা)-এর সাবেক সভাপতি, ‘বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উন্নয়ন ফোরাম’ সংগঠনের উপদেষ্টাসহ আরো অনেকগুলো সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে এই অঞ্চলের মাটি ও মানুষের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন।
ড. মোহাম্মদ সোলায়মান একজন ধার্মিক মানুষ। ব্যক্তি জীবনে তিনি ধর্মীয় বিধি-বিধান ও অনুসরণগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করেন এবং একজন দ্বায়ী ইলাল্লাহ হিসেবে দ্বীন প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যকেও তিনি দ্বীনদার, পরহেজগার হিসেবে তৈরি করছেন। তাঁর মরহুম বাবার আদর্শ ধরে রেখে নিজের পরিবারদের সদস্যদের পাশাপাশি পাড়া, মহল্লা ও এলাকাবাসীর প্রতি দ্বীনের খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন ছাত্র জীবন থেকেই।
ড. মোহাম্মদ সোলায়মানের এই অর্জনে এলাকাবাসী অত্যন্ত আনন্দিত, উদ্বেলিত। তারা সবাই বিশ্বাস করেন একজন যোগ্য মানুষের হাতেই অত্যন্ত উপযুক্ত একটি দায়িত্ব পড়েছে। তিনি সততা, ঈমানদারীতা ও আমানতদারীতার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদন করবেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি।