লেখক: ইঞ্জিঃ সিরাজুল ইসলাম
গানের মত সাহিত্য সাধনার রেওয়াজ প্রয়োজন! ভোর পাঁচ টায় জেগে সব কাজ সেরে সাহিত্য সাধনা একটা প্রত্যাহিক কাজ! শত খানেক নোটিশ এসে বসে থাকে, তাদের একটু প্রতি উত্তর করা লাগে অন্যথায় গালি শুনতে হয়! তারপর কবিতা আর্টিকেল, তার আগে বিদেশি দেশি পত্রিকায় চোখ বুলানো! এ কাজ গুলো চা খেতে খেতে শুরু করা অভ্যাস!
চা কিসে হবে, গ্যাস নাই, পত্রিকা নিউজ কিভাবে পড়বো, নেট নাই, বিদ্যুৎ ভেলকি তো আছে, বিদ্যুৎ কখন ও লো ভোল্টেজ! পথে ঘাটে বের হওয়া কমিয়েছি জীবনের নিরাপত্তা নাই! ইউটিউব ফেজবুক খুললেই যত ভন্ড মিথ্যা বাদীর পোস্ট যার সাথে বাংলাদেশের কোন সম্পর্ক নাই!
মনে হচ্ছে স্বৈরশাসক রা ভালো ছিলেন! এনে দিন কোন এরশাদ বা এমন কেউ! তারা কেউ বন্যা দুর্গত দের টাকা মেরে খাবে না, বাংলাদেশের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী পিটিয়ে মারবে না, বিদ্যুৎ নাই কেন সে কারন হিসাবে বাসায় এসির পরিমান কার কত দেখাবে না, ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে আবার পাঁচ গুন রপ্তানি করবে না, পুলিশ আমার কথা শোনে না তা বলেও ক্ষমতায় আকড়ে থাকবে না, মাদ্রাসার ছাত্র দিয়ে মন্দির পাহারা দেয়ার মত অসহায় অবস্হায় ক্ষমতায় বসে থাকবে না, এমন ধোয়াচ্ছান্ন বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে ১৬ ই ডিসেম্বরে বিজয় দিবসের পরে ও কেউ দেখে নাই! স্মর্তব্য, তখন কেউ অস্ত্র জমা দেয় নাই, সবার হাতে জানা অজানা ব্যক্তির হাতে রাইফেল স্টেন গান এসএলআর গ্রেনেড বিস্ফোরক!
মুজিব দেশে ফেরার আগে কেউ অস্ত্র জমা দেই নাই কিন্তু অচল ছিলো না দেশ!
মুজিব নগর সরকার ই গ্রাম পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছেন! বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলো রাশিয়া এবং অচল নদী পথ সচল করেছে পাক সেনাদের বসানো সমস্ত মাইন পরিস্কার করে ফেলেছে দ্রুত! আমরা বেঈমান জাতি ভুলে গেছি সেই মেজর পদমর্যাদার রাশিয়ান মাইন সুই পিং টীম হেড খুলনা রূপসা নদীতে একটা কাঁদা মাটিতে গেড়ে যাওয়া বিশাল মাইন ডিএনারজাইজড করতে নেভাল সেনাদের ব্যর্থ হওয়ার পর নিজেই চলে যান স্রোত সংকুল নদীর তলদেশে!
বিকট জোরে সারা শহর প্রকম্পিত করে বিস্ফোরিত হয়
সেই বিশাল মাইন, রক্তে লাল হয়ে ওঠে রূপসার জলধারা! মাইন মুক্ত হলো রূপসা নদী, শুরু হলো লঞ্চ স্টীমার চলা কিন্ত আজ ও জানা হলো না কি ঘটেছিলো
এমন অকুতোভয় রাশিয়ান সৈনিকের ভাগ্যে?
প্রিয় পাঠক, বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানে দঃ এশিয়ার এই তিনটা দেশে ধর্মের নামে কুসংস্কার বেশী, ইসলাম ধর্ম জানা লোক ও কম, অশিক্ষিত গরীব লোকগুলো কে অহেতুক গুজবে হুজুগের মিছিলে যোগ দেয়ানো সহজ, একই সাথে “শিক্ষিত অশিক্ষিতের” সংখ্যা লাখ লাখ! একাডেমিক শিক্ষা আছে কিন্ত I Q মাইনাস A , সে জন্য ই শুনতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সরকারকে পরামর্শ দেন চীন রাশিয়া ফ্রান্স বৃটেন রেখে পাকিস্তানের সাথে “পরমাণু চুক্তি” করতে, যে দেশে ৮০০ টাকা এক কেজি আটার মূল্য! বাংলাদেশ স্বাধীনতায় অবদানের দেশগুলো কে এড়িয়ে যাওয়া এসব পরামর্শকের উদ্দেশ্য!
প্রায় ৫৫ দিন বয়সী সরকারের জনগণের জন্য চোখে পড়ার মত কোন অবদান নাই! দেশের এত সমস্যা সরকারের গাত্র দাহ নাই! ভারত বিরোধী মুখে আজ-ও শেখ হাসিনা সরকারের ২০১৮ সালের চীনের এক বিলিয়ন (৯৮.৭ মিলিয়ন সম্ভবত) লোনে করে দেয়ার চুক্তি বাস্তবায়ন সেই মমতার বড় অত্যাচার তিস্তা বাধের বিরুদ্ধে চীনের তিস্তা রিজার্ভার চুক্তি!
আবার জনৈক উপদেষ্টা নির্লজ্জের মত হেসে হেঁসে বলেন, “আমরা বিগত সরকারের মত নতজানু পররাষ্ট্র নীতি তে ভারত কে ইলিশ দেই নাই, মমতা দিদিকে দিয়েছি! ” ভারতের ততকালীন প্রধানমন্ত্রী মন্মথ সিং “মমতার” জন্য প্রেসিডেন্ট প্রনব বাবুর শত চেষ্টা থাকার পর ও ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তি করতে ব্যর্থ হলেন কংগ্রেস সরকার! ইতিহাস ভুগোল গ্লোবাল পলিটিক্স না জানা লোক সরকারের নীতিনির্ধারণী তে বসলে এমন ই নির্লজ্জ কথা শুনতে হয়! কে মমতা, কে নরেন্দ্র মোদি আর কোন দেশ ভারত, মমতা কি ভারতের লোক —+ এতটুকু জানা লোক ও এমন জ্ঞানহীন নির্বোধ কথা বলবে না!
অনিশ্চিত জনজীবনে নিরাপত্তা আজ ও ফিরিয়ে আনতে পারেন নাই সরকার! মার্কিন ঋণ পাওয়া কোন আনন্দ সংবাদ না বরং সূচ হয়ে ঢুকে ফলা হয়ে বের হওয়ার চিন্তা মাথায় থাকা উচিত! পাকিস্তান যখন দেউলিয়া তখন I M F পাকিস্তান কে লোন দেয় নাই বরং হাসিনা কে লোন চাহিবা মাত্র মঞ্জুর করে ফেললো!
পাকিস্তান কে বাঁচাতে চীন দুইবার ও সৌদি আরব দুইবার ঋণ দিয়েছে!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন। সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাই, পাহাড়ি বাঙালি হিন্দু মুসলিম ভাগাভাগি বন্ধ চাই, পূজা মন্ডব পাহারা নাটকে মাদ্রাসা ছাত্র চাই না পুলিশ চাই, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চাই কোন ছাত্রী চাই না যারা বিদ্যুৎ বিল দেখে বলে গাড়ীর কাগজপত্র ঠিক আছে, আপনি যান! নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ গ্যাস ইন্টার নেট চাই! আমেরিকার দু’জন প্রেসিডেন্ট ছিলন যারা কোনদিন স্কুল কলেজ দরজায় যান নাই, দেশ চালাতে রাজনীতিবিদ লাগে ডক্টরেট নোবেল জয়ী অত্যাবশ্যক নয়!