রাশেদ ইসলাম, জয়পুরহাটঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হোপপীর হাটা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সুপার (প্রধান শিক্ষক) ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি গোপনে সম্পন্ন করেছেন নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি, সুপার ( প্রধান শিক্ষক) , ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও প্রতিষ্ঠানের হিসাব সহকারী মোঃ ফিরোজ হোসেনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছোট ভাইয়ের বউ মোছাঃ রুবিনা খাতুন। গোপনে ব্যাক ডেটে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন তারা যা আইন বহিভর্‚ত। ১৮-৯-২০২৪ ইং তারিখে যোগদানের করেছেন এই মর্মে শিকারোক্তি দিলেও কোনদিন প্রতিষ্ঠানের উপস্থিত হতে দেখা যায়নি তাদের। অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রাপ্ত গবেষণাগার/ ল্যাব সহকারী মোঃ রুবিনা জানান, তিনি এক মাস যাবৎ প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী তাকে কোনদিন দেখেননি। হাজিরা খাতায় তার কোন স্বাক্ষর নাই তবে ০৮/০৯/২৪ তারিখ সকালে এসে সমস্থ ফাকা ঘর পূরণ করেন।
হোপপীর হাটা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় একজন এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক ও একজন গবেষণাগার/ ল্যাব সহকারী নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন। তাদের দাবি, কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তড়িঘড়ি করে গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে ফর্মায়েসী বোর্ড গঠন করে কাগজ কলমে নিয়ম বজায় রেখে নিয়োগ দেখানো হলেও আসলে মানা হয়নি কোনো নিয়ম।
অভিযোগ রয়েছে, ব্যবস্থাপনা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি, অভিভাবক প্রতিনিধিকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি গোপনে হোপপীর হাটা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন না করে মাঠে-ঘাটে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুন্ন করেন। তবে প্রকৃত পক্ষে নিয়োগ বোর্ড গঠন করেছে কি না সে ব্যাপারে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তারা।
অভিভাবক সদস্য সাইদুল ইসলাম জানান ‘নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সুপার ( প্রধান শিক্ষক ) ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আমার কাছে স্বাক্ষর নিতে জমিতে গেলে আমি না বুঝে স্বাক্ষর করেছি পরে দেখি সেই স্বাক্ষর দিয়ে দুই জনকে নিয়োগ দান করেছে। নিয়োগ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় সঠিক নিয়ম মেনে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগের দাবি জানান তিনি।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বড়তারা ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান এর সভাপতি পদ চলে যায় গত ২০/৮/২৪ ইং তারিখে এবং তার নামে জয়পুরহাটে হত্যা মামলা হওয়ায় তিনি গা ঢাকা দেওয়ার কারনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
হোপপীর হাটা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার (প্রধান শিক্ষক) মোঃ জহুরুল ইসলাম, অসুস্থতার কথা বলে গত ০১-০৯-২৪ইং তারিখ থেকে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত রয়েছেন। নিয়োগের ব্যাপারে মুঠফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে ফোন কেটে দেন এবং পূনঃরায় তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বড় ছেলে শামীম তাকে ফোন না দেওয়ার হুমকি দেন। তার বক্তব্য নিতে বাসায় গেলে সাংবাদিকদের বাইরে রেখে দরজা বন্ধ করে বাড়ির ভেতর অবস্থান করেন। কিন্তু ঘরের ভেতর এই বিষয়ে কথা বার্তা বলতে শোনা যায়।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুম এর নিকট উক্ত বিষয়ের অফিযোগ দিলে তিনি জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।