লেখক:- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম!
গনহত্যা বা Genocide কি যা হিটলার জার্মানি তে করেছিলো, ফ্রান্স , মার্কিন ভিয়েতনামে করেছিলো, ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খান বাংলাদেশে করেছিলো! কম্বোডিয়া, রুয়ান্ডা, বসনিয়া, আর্মেনিয়া, গ্রীক, ইত্যাদি গনহত্যা বিশ্বে Genocide হিসাবে ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ!
Genocide is the deliberate killing of large number of people from a particular nation or ethnic group with the aim of destroying that nation or group ! একটা জাতিকে কোন জাতীয় শাসক চিরতরে মুছে দেয়ার অভিপ্রায় হত্যাযজ্ঞ চালানো! বাঙালি জাতি, ইহুদি জাতি মুছে দেয়ার চেষ্টা ছিলো। ৫ ই আগষ্ট এই সজ্ঞায় জেনোসাইড কিনা তা আলাপ করবো তার আগে বাংলাদেশ জাতীয় চরিত্র এবং হুজুগ জানা প্রয়োজন!
গনহত্যা, বিপ্লব, স্বাধীনতা একথা গুলো বাংলাদেশে এখন দারুন ভাবে চালু! বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের একটা নিন্ম মধ্যবিত্ত দেশ যা কেবল উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করলেও দেশি এবং বিদেশি দেশগুলোর চক্ষুশূল ছিলো! যে কোন ধরনের একটা (through destruction fall down crippled forever) একটা ধ্বংস যজ্ঞের মাধ্যমে অধ পতন করে চির পঙ্গুত্ব বরন করানোর প্রচেষ্টা ছিলো দেশি-বিদেশি শত্রুদের! যে শাসক দেশ টাকে বিশ্ব মানে টেনে তুলেছিলেন তার ও মতিভ্রম শত্রু গোষ্ঠী কে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে শত! বিশদে যাওয়ার আগে এই দেশ টার একটা জনগোষ্ঠীর চরিত্র এখানে বলতে চাই!
এদেশের মানুষের দেশপ্রেম ভারত বৃটিশ মার্কিনের মত না! একটা বিশাল গোষ্ঠী আছে নিজস্ব সম্পদশালী হওয়া ছাড়া দেশ নিয়ে ভাবার সময় নাই! আর এক শ্রনী আছে যারা ধর্মের আসল কুরআন গীতা বুঝে ধার্মিক না, তবু তারা ধর্ম ধ্বজাধারী! লেবাস তাদের সাধারণ মানুষ থেকে আলাদা করে রাখে, মনে হবে তারা স্বয়ং আল্লাহ ভগবান ঈশ্বর প্রদত্ত সনদ ধারী এবং তাদের জন্য বেহেশতে স্বর্গে ইতিমধ্যে একটা বসবাসের ঘর তৈরি হয় আছে! আর একশ্রেণির চরিত্র তারা “শিক্ষিত অশিক্ষিত”! ব্যবসায়ী ধার্মিক, শিক্ষিত কিন্তু গোড়া তাই অশিক্ষিত, আর এক শ্রেনী দেশ যাক যথাতথা আমি হবো অর্থবিত্তের মাথা! এই শ্রেনী গুলোকে একত্রে নিয়ে দেশ চালানো অত্যান্ত কঠিন! গতানুগতিক ভালোই চলিতেছিলো, ২০০১ সাল পর্যন্ত! দুটো বড় দলের একদল এক বার তো দ্বিতীয় দল পরবর্তী টার্ম, আমরা আমজনতা ভালোই ছিলাম! কিন্তু ‘মেজর জিয়া’ যে দলটা তৈরি করেছিলেন দেশের খ্যাতিমান ডাক্তার “বদরুদ্দোজার চৌধুরীর” মগবাজারের বাসায় বসে সেখানে এক কালের মন্ত্রী কফিলউদ্দিনের ছেলে ডাঃ বদরুদ্দোজা ছিলেন, ছিলেন ভাসানী সাহেবের তৈরি অনেক রাজনৈতিক নেতা এবং স্বাধীনতা বিরোধী যাদের জিয়া নিয়েছিলেন তারাও ছিলেন ঝানু শাহ আজিজ আলীমদের মত রাজনৈতিক নেতারা!
পরবর্তী ঐ দল যখন বেগম খালেদা জিয়া নেত্রীত্বে এলেন তখন পদ কেনা বেচায় বেশ অরাজনৈতিক মেজর ব্যারিস্টার ব্যবসায়ী বিভিন্ন দলের উচ্ছিষ্ট ভোগী দলত্যাগী দলের নেতৃত্বে এসে গেলেন তারা দলটা ক্ষমতায় গেলে আর সৎ বুদ্ধি দিতেন না ক্ষমতা ছাড়ার! তাই যে খালেদা জিয়ার হাত ধরে সব রাজনৈতিক দলের চাপে ” তত্বাবধায়ক” সরকার এসেছিলো এবং খালেদার হাতেই ২০০৬ সালে তার দাফন কাফন হয়ে নিঃশেষ হলো সেই “নিরপেক্ষ নির্বাচন পদ্ধতি!” তিনি ডেকে আনলেন একধরনের অঘোষিত সামরিক শাসন যাদের হাতে নিষ্পেষিত হলো দুই বড় দলের দুই নেত্রী —– খালেদা জিয়ার অসুস্থ ছেলে “কোকো” পর্যন্ত !
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে আর অনির্বাচিত লোকদের হাতে ক্ষমতা নয় বলে সংসদে তত্বাবধায়ক পদ্ধতি কবর দিলেন! তার যুক্তির পক্ষে এখন কার অনির্বাচিত অন্তর্বত্মীকালিন সরকারের উপদেষ্টাদের অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা শুনেই বুঝতে পারবেন শেখ হাসিনার যুক্তি ঠিক ছিলো কিন্তু আমরা আম পাবলিকরা ব্যালান্সিং নেতৃত্ব না পেয়ে একই দলের শাসনের যাতা কলে পরে পিষ্ট হতে থাকলাম! ফখরুল সাহেবরা ভাসানী তর্কবাগীশ সোহরাওয়ার্দী মুজিবের মস্তিষ্ক ও সাহস সমান রাজনৈতিক নেতা না যে তিনি আইয়ুব ইয়াহিয়ার মার্শাল সরকার বা হাসিনার পুলিশের সামনে বুক পেতে চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাবেন — অসমাপ্ত
পরবর্তী পর্বে শেষ!