এ.কে.জাকির হোসাইন বিপ্লবী, বিশেষ প্রতিনিধি ঢাকা:
গত ১৩ ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার গাছা সাহিত্য পরিষদ গাজীপুর -টঙ্গীর পক্ষ থেকে, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেখচার হলে এক গুণীজন সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের সম্মানীত সভাপতি খন্দকার লুৎফুন নাহার ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক গাজী লতা ইসলাম। অনুষ্ঠানের উদ্ভোধক:- ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক জনাব, ড.আনোয়ারুল্লা ভূইয়া আলোচনা সাপেক্ষে ৫ ই আগষ্টে বিজয় এবং বর্তমানে শিক্ষকদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন বর্তমানে শিক্ষকদের উপরে নির্যাতনের বিষয় নিয়ে। তিনি সবাইকে দেশের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ওনার গুরুত্বপূর্ন আলোচনা শেষ করেছেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:- জনাবঃড.আ.ন.ম. মালেকি, কবি ফয়জুর রহমান, কবি ইলোরা সোমা, কবি নাসির হেলাল, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল পাশা, কবি শিহাব রিফাত আলম, কবি নজরুল বাঙ্গালী সহ আরও অনেকেই। প্রিয় কবি ও গুনীজন নজরুল বাঙালী সাহেব বিশেষ অথিতির বক্তব্যে বাংলা একাডেমীতে কবি ভবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি জানিয়েছেন। তিনি সকল কবিদের নিয়ে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করতে চান। সাহিত্যের মান উন্নয়নে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন এই প্রিয় কবি। কবি ও গুনীজন শিহাব রিফাত আলম বলেন সাহিত্যকে এগিয়ে নিতে হলে ঐক্যের প্রয়োজন। আমাদের মাঝে দলীয় ঐক্য থাকলেও কবি সাহিত্যিক হিসেবে ঐক্যের অভাব। তাই উনি সকল কবি সাহিত্যিকদের ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে উনার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শেষ করেন। আরও অনেকেই সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে কবি এস.এম. আব্দুস সালাম আজাদ অতীতের নির্যাতন ও অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকার ঘটনা বর্ননা করে বর্তমান স্বাধীনতার আলোকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে প্রিয় কবি ও গুনীজন বহু ভাষাবিদ, ইতিহাসবিদ, ১৫০ টি গ্রন্থের প্রনেতা মাহমুদুল হাসান নিজামী সাহেব বর্তমানে এক শ্রেণীর নৈরাজ্য কারী কু-চক্রী মহলের কথা বর্ননা করেন। পরবর্তীতে ওনি জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের মাজারে দেওয়া অন্য লেখকের কবিতার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, নজরুলের মাজারে নজরুলের কবিতা থাকবে।কারন নজরুল তো কোনো সাধারণ লেখক ছিলেন না।ওনি ইতিহাসের আরও গুনি কবিদের নিয়ে আলোচনা করেন। সাহিত্য বিষয়ে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক আলোচনা করেছেন প্রিয় গুরুজি। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন:- বিশ্বসেরা খেতাবপ্রাপ্ত কবি ও পরিবেশ বিজ্ঞানি ড.জাহাঙ্গীর আলম (রুস্তম)।ওনি সাহিত্যে মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। সকল কবি সাহিত্যিকরাই সুন্দর একটা অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ায় গাছা সাহিত্য পরিষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সভাপতির বক্তব্যে খন্দকার লুৎফুন নাহার গাছা সাহিত্য কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বক্তব্য দেন।কবি সাহিত্যিকদের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ বাণী দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন। গাছা সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কবি গাজী লতা ইসলাম আপুর প্রতি দোয়া ও ভালোবাসা রাখছি যেনো ভবিষ্যতে আল্লাহ চাহে তু, এরকম আরও সুন্দর একটি মূহূর্ত উপভোগ করতে পারি।