সাদিকুর রহমান, সিলেট থেকে:
সিলেটের ভারত সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটে কোন ভাবেই থামছে না ভারতীয় অবৈধ চোরাচালান। প্রতিদিন মধ্যরাত হতে ভোর পর্যন্ত অবৈধ চোরাইপণ্য অবাধে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে। এসব চোরাইপণ্যের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের মাদক, চিনি, মসলা, শাড়ি, থ্রিপিস, সিগারেট ও কসমেটিকসহ নানান পণ্য ভারত থেকে নিয়ে আসছে চোরাকারবারিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে গোয়াইনঘাটের প্রতাপপুর, হাজীপুর, সোনারহাট, জাফলং, বিছনাকান্দি সীমান্ত ব্যবহার করে চোরাকারবারিরা ভারতীয় চোরাচালান অবাধে ও নির্বিঘ্নে নিয়ে আসছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক ব্যক্তি বলেন, গত সোমবার রাতে গোয়াইনঘাটের রাধানগর থেকে নৌপথে আলীরগাঁও ইউনিয়নের আব্দুল মহল এলাকায় চোরাই চিনি আনলোড করে সেখান থেকে ডিআই পিকআপ দিয়ে এসব চোরাই চিনি পাচার করা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সূত্র জানায়, গোয়াইন নদী ও কাঁপনা নদী ব্যবহার করে নৌকা দিয়ে ফতেপুর ইউনিয়নের মানিকগঞ্জ বাজার হয়ে পাশ্ববর্তী জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ পথে আসা এসব চোরাই চিনি পাচার করা হয়।
এদিকে, সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিলেও চোরাকারবারিরা ফাঁকি দিতে পারেনি নব্য চাঁদাবাজদেরকে। জানা গেছে, এসব চোরাইপণ্য পাচারকালে গোয়াইনঘাট সদরের সবজি বাজার ও লক্ষীনগর নৌকা ঘাটে বস্তা প্রতি দিতে হয় চাঁদা।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ হারুন অর-রশিদ বলেন, চোরাচালান রোধে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। সকলের সহযোগিতা নিয়ে অবৈধ চোরাচালান বন্ধ করতে চাই। তিনি বলেন, ওসির নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।