ডেস্ক রিপোর্টঃ

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং শিক্ষকদের অপমানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, মহান সুরেশ্বর দরবার শরীফের গদিনশীন পীর ও মুর্শীদ ক্বিবলা সাইয়্যেদ শাহ্ সূফী বেলাল নূরী আল্ সুরেশ্বরী (মাঃ জিঃ আঃ)।

তিনি বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। এ জন্য বলা হয়- যদি কোন জাতিকে ধ্বংস করতে চাও তাহলে সেই জাতির শিক্ষিত, জ্ঞানী-গুনীজন ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করো। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব কি দেখছি? কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীগণ শিক্ষকদের কিল-ঘুষি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে জোর পূর্বক পদত্যাগ করাচ্ছে। কোথাও আবার জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘোরানো হচ্ছে। এটি বাঙ্গালী জাতির জন্য একটি লজ্জাজনক কলঙ্কময় অধ্যায়। যা শিক্ষার্থীরা নিজেরাও বুঝতেছে না। শিক্ষক আমাদের গুরুজন। তাদের ভুলত্রুটি থাকতে পারে। তার জন্য আইন অনুযায়ী অপসারন এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নিজেদের মন মতো শিক্ষক পরিবর্তন করা অগ্রহণযোগ্য। আর যাদের বসানো হচ্ছে সেই শিক্ষকরাই বা কি শিক্ষা দিবেন?

হে শিক্ষার্থী সন্তানেরা! আমার ৭৮বছর বয়স চলছে এখনো শিক্ষককে দেখলে দাড়িয়ে সম্মান করি। গুরুজনদের পা ছুয়ে সালাম করি। তোমরা এসব কি করছো? আদব ও বিনয় শিখো। এই অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসো। যদি কেহ অন্যায় করে কর্তৃপক্ষ তার ব্যবস্থা নিবেন।

পরিশেষে ছাত্রজনতা ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশে এখনো যা কিছু ঘটছে তা আমাদের জন্য শুভকর
নয়। বিভিন্ন স্থানে হত্যা, ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও হচ্ছে। এগুলো তো আমাদের দেশেরই সম্পদ। হাজার হাজার শ্রমিক চাকরিচ্যুত হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। তাদের সংসার কি ভাবে চলবে? দেশে কি তাহলে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসতে চলেছে? মনে হচ্ছে বাংলাদেশকে পঙ্গু করার এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এখন জনগনের সেবক ডাক্টারদের উপরেও আক্রমন করা হচ্ছে। তাঁরা যদি চিকিৎসা দেওয়া বন্ধ করে দেন তাহলে জাতির কি অবস্থা হবে? এই ভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরে ভয়াবহ অবস্থা চলছে। আর নয়, এবার থামুন! এখনো সময় আছে। আমাদের অস্তিত্ব আমরা বিলীন করতে পারি না। এই দেশ আমাদের, এই সম্পদ আমাদের, এই শিক্ষকেরা আমাদের, এই শিক্ষার্থী সন্তানেরা আমাদের। সচেতন নাগরিক কখনই নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারতে পারে না। আমাদের সবাইকে মাথা ঠান্ডা রেখে চলতে হবে। মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমীন।