লেখক: এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ
আশিক সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়ালেখার সময় কবিতা লেখা সাংবাদিকতা সহ বিএনসিসি
তে নিয়মিত জয়েন করা সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। রুটিন মাফিক পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এলাকা থেকে আগত রুগীদের খোঁজ খবরও নিতে। গ্রাম থেকে মেডিক্যালে আসা রোগীদের বিভিন্ন সহযোগিতা করতে দ্বিধাবোধ করতেন না।
সাহিত্য চর্চার সময়ে কয়েক জনের নজর পড়ে আশিকের উপর। তাদের অনেকেই আশিকের উপর অধিকার চর্চা করতে আগ্রহী হলেও আশিক তাদের কে পাত্তা দিতো না।
তন্মধ্যে একজন উপন্যাসিক আশিক কে বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে কনভেন্স করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে সে আশিককে বলে যে, এমন দিন আসবে আজকের দিনের জন্য আপনি পস্তাবেন!
আশিকের জীবনে নাটকীয় ভাবে অন্যতম একজন রুপসীর আগমন ঘটে খুলনায় অবস্থান কালীল সময়ে। আশিক সেই মেয়েটির কোমলতায় আটকে গিয়ে কয়েক মাস তাকে, তার প্রতি বিমোহিত হয়। মেয়েটির নাম সোহানা। "চেতনার বিরুপ দংশনে" সে মেয়েটিও হারিয়ে যায় জীবনের রঙ্গিন আঙ্গিনা থেকে।
তারপর সাহিত্য সাধনায় নিমগ্ন আশিকের কবিতা-পাঠকের চিঠি যথারীতি দৈনিক করতোয়া, দৈনিক আজ ও আগামীকাল, করতোয়া বিনোদনে ছাপা হতে থাকে। সাহিত্যের টান ও আকর্ষণে লেখালেখির ভাবে জান্নাতুল ফেরদৌসী শিখা মনের খানিকটা দাবী করে বসলেও পারিপার্শ্বিক বৈরী পরিস্থিতিতে সেও বলে পস্তাতে হবে তোমাকে "তুমিও পুড়বে জেনে রেখো একদিন"।
হতাশা নিকোষ কালো রুপ ধরে।
সায়মা সুলতানা, সুমাইয়া আক্তার, আফসানা রশিদ, সেলিনা আক্তার, নাসিমা এনাম প্রীতি, ইসরাত জাহান, শারমীন সরদার, ফাতেমাতুজ্জোহরা, ইসরাত জাহান মাহমুদা,সালমা সহ অসংখ্য সাহিত্য প্রেমী সংস্কৃতি মনা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে কনভেন্স করতে গিয়ে আশিককে টলাতে পারেনি।
হয়তো কারো সাথে ভাই-বোন, কারো সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান ছিলো।
আশিক বেতার প্রিয় লেখক শ্রোতা হিসেবে বেতারে নিয়মিত লিখতে লিখতে হাজারও জনের সাথে পরিচিতি গড়ে ওঠে। শতাধিক বেতার শ্রোতা বিভিন্ন সময়ে অজস্র চিঠি পাঠায়। অনেকের মধ্যে অনেকে প্রস্তাব দেয় আপন মানসপটে পুঞ্জীভূত আশা আকাঙ্ক্ষার কথা মালা ব্যক্ত করে। কিন্তু আশিক কাউকে মনের ছোট্ট কুটিরে প্রবেশের অনুমতি না দিলেও অনেকেই সেথায় ঢুকে পড়ে নন্দিত বন্ধু রুপে! আশিকের হৃদয়ের জীর্ণ কুটিরে তাদের মধ্যে থেকে পাকাপোক্ত ভাবে ৬৭ দিনের জন্য পত্তনি নিয়ে নেয় একটি মেয়ে নাম পুষ্প। পুষ্প আশিকের জীবনের ৬৭ দিন(১,৬০৮ ঘন্টা, ৯৬,৪৮০ মিনিট, ৫,৭৮,৮৮০০ সেকেন্ড) কে ছিনিয়ে নিয়েছে ভালোবাসার জালে আটকে রেখে। বহু বিদ বিপদ সংকুল পরিবেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে আশিক, তবুও ভালোবাসা জয় করতে ভূলিকা রাখতে পারে নাই।
ভালোবাসার সদিচ্ছা তাকে জীবন থেকে সংসার থেকে কিঞ্চিৎ সময়ও আলাদা হতে দেইনা। সাংসারিক ব্যস্ততা ও গুরু দায়িত্ব পালন আশিকের জীবন থেকে ভালোবাসার ইচ্ছাকে আড়ালে আবডালে রেখেছে সব সময়!
(তারিখঃ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ঈশায়ী, চলবে...)