স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর পৌর এলাকার কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে ২৩৯ জনের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগপত্র উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট দেয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, গত ২০ বছর ধরে ২৫নং কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মোশারফ হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে একটি বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকায় এবং স্থানীয় এলাকায় তাঁর শশুরবাড়ি হওয়াতে সরকারি নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে তিনি তাঁর ইচ্ছামতো বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ করার কথা বলে বিভিন্ন প্রবাসীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে ও রয়েছে নানা অভিযোগ। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে এলাকায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হলেও ওই সময় শিক্ষক জানান, তিনি স্বেচ্ছায় বিদ্যালয় থেকে অন্যস্থ বদলি হয়ে চলে যাবেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি তাঁর খোলস বদলে আলোচিত ডিবি হারুন (ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের)
তাদের এলাকার বড় ভাই পরিচয় দিয়ে প্রতিবাদীদের ভয় ভীতি দেখান। কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা শিক্ষক মোশারফ হোসেন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিল্পীদের নিয়ে গান বাজনায় ব্যস্ত থাকেন। এতে বিদ্যালয়ে চরমভাবে পাঠদান ব্যাহত হয়।
সম্প্রতিকালে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন উপলক্ষ্যে অন্য ধর্মের এক নারী শিক্ষিকাকে পাশে বসিয়ে দোয়া পরিচালনা করেন এই প্রধান শিক্ষক। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমনতাবস্থায় এলাকার পরিস্থিতি শান্ত করতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি জানানো হয়।
স্থানীয় এক ছাত্রের অভিভাবক সিজিল মিয়া জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম দুর্নীত ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠে। তিনি বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের প্রতি খেয়াল না রেখে বিদ্যালয়ের বাহিরে বেশি থাকেন। স্কুলে পড়াশুনা ঠিক মতো না হওয়ায় আমি আমার এক বাচ্ছাকে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্কীকার করেছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।