মোঃ তামজিদ আলম মাহীন, স্টাফ রিপোর্টার:
স্বনির্ভর সূচনা নারী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সংস্থা, কুমিল্লা ও বাংলাদেশ সাপোর্ট ফোরাম এর যৌথ উদ্যোগে জাতীয় কন্যাশিশু দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা নগরীর ফরিদা বিদ্যায়তনের হল রুমে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা। স্বনির্ভর সূচনা নারী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সংস্থা, কুমিল্লা এর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটি বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ এর যুগ্ম সম্পাদক শাহানা হক এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আদর্শ সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল আলম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কুমিল্লার প্রোগ্রাম অফিসার সেলিনা ইয়াসমিন, আওয়ার লেডি অন ফাতিমা গার্লস স্কুলের সাবেক সহকারী শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন ও ফরিদা বিদ্যায়তনের প্রধান শিক্ষক মোঃ হানিফ মজুমদার। এসময় ফরিদা বিদ্যায়তনের অন্যান্য শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীরা
উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন ফরিদা বিদ্যায়তনের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা জাহান, রোটারিয়ান কাজী জাকির হোসেন। কবিতা আবৃত্তি করেন কবি আবদুল কাইউম। আলোচনা সভায় সভাপতি শাহানা হক বলেন, ২০০৭ সাল থেকে স্বনির্ভর সূচনা নারী উন্নয়ন সংস্থাটি নারী উন্নয়ন ও শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তাই বিগত দিনের ন্যায় আজকে আমরা এ সংস্থার মাধ্যমে জাতীয় কন্যাশিশু দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সকলের মাঝে তুলে ধরতে চাই। বক্তারা জাতীয় কন্যাশিশু দিবসে-২০২৪ এর তাৎপর্য তুলে ধরেন। আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। ছেলে শিশুর পাশাপাশি কন্যাশিশুদেরও গুরুত্ব দিয়ে জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে। কারণ বর্তমান বিশ্বে নারীরা দেশ ও জাতি গঠনে অনেক বেশি অবদান রাখছে।
উল্লেখ্য ‘কন্যাশিশুর স্বপ্নে গড়ি আগামীর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে এবার দিবসটি পালিত হয়েছে। শিশুদের প্রতি সব ধরনের ভেদাভেদ ও বৈষম্য দূর করে সচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর বাংলাদেশে দিবসটি পালন করা হয়। ২০০৩ সালে কন্যাশিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ৩০ সেপ্টেম্বরকে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ সাপোর্টারস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা, স্পিন ডক্টর, রাস্ট্র চিন্তক ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা ক্লিনটন হাওলাদার পাভেল , চমৎকার ও অসাধারণ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এক বানীতে বলেন
একটা সময় ছিলো যখন কন্যা শিশুর চেয়ে পুত্র শিশু বেশি চাইত পিতা-মাতারা। কন্যার জন্মগ্রহণে খুশি হতে পারত না পিতামাতারা। কারণ, তখন কন্যা শিশুর চেয়ে পুত্র শিশুকে বৃদ্ধ বয়সের অবলম্বন মনে করা হত। তাই কন্যা শিশুর চেয়ে পুত্র সন্তানকে পরিবারে গুরুত্ব দেয়া হতো বেশি।
তবে সময় বদলেছে, তার সাথে বদলেছে পিতামাতার ধারণারও। নানারকম বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে কন্যা শিশুরা এখন পুত্র সন্তানের মতো সমানতালে পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে অবদান রেখে চলেছে। কন্যা সন্তানও বৃদ্ধ পিতা-মাতার অসহায় জীবনে সহায় হয়ে দেখা দিচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে পুত্র সন্তানের চেয়ে বাবা-মার প্রতি বেশি গুরুদায়িত্ব পালন করছে কন্যারা। যুগে যুগে
সকল সংগ্রামে এবং দেশ ও সমাজ গঠনে কন্যারাও সাহসী ভূমিকা পালন করছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফসল বিপ্লবী সরকারের কাছে প্রত্যাশা নারী পুরুষের বৈষম্যহীন সাম্য সম্প্রীতির সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।