এম.কে.জাকির হোসাইন বিপ্লবী:
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও রয়ে গেছে শেখ হাসিনার লালিত পালিত গুপ্তচর। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গুপ্তচরদের ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিবেশকে আরও প্রস্থিতিশীল করে তোলার জন্য আমি সন্ত্রাসী বাহিনীরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু চেষ্টায় তারা সফল হয়েছে, আবার কিছু চেষ্টায় ব্যার্থ। শেখ হাসিনা পালানোর পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়,সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন নৈরাজ্য মূলক ঘটনার সৃষ্টি করে বর্তমান বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে।বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস সহ দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। রাজনীতিবিদদের তথ্যসূত্রে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্যই আওয়ামী লীগের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। তারা মন্দির ভাঙচুর করে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছে। বার-বার বিশ্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জায়গায়, বিরোধী দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হত্যা করার তথ্য পাওয়া গেছে। আর এরকম বর্বর হত্যাকাণ্ডের মূলে আওয়ামী লীগের গুপ্তচর বাহিনী। আমি বিস্তারিত বলতে চাই না, শুধু বর্তমান শিরোনামের আলোকে কিছু কথা লেখার চেষ্টা করছি,
প্রিয় দেশবাসী, আপনার অবগত আছেন যে গত শুক্রবার ২০ শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে, জুমার নামাজ পড়তে যাওয়া সাধারণ মুসল্লিদের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর পক্ষ থেকে অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
কিন্তু কেনো এই হামলা চালানো হয়েছে?বলছি বিস্তারিত,
ছাত্র জনতার কঠিন প্রতিবাদে এবং জনগণকে সাথে নিয়ে যৌথ গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন এবং পলায়নের পর, সরকার নির্ধারিত জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের সাবেক খতিব রুহুল আমিন পালিয়ে গিয়ে আত্নগোপনে থাকেন।তথ্যসূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পরে, গোপালগঞ্জ সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনীদেরকে নিয়ে বাইতুল মোকাররমে অবস্থান করেন। আপনারা জানেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে কওমীর জননী বলে,উপাধি দিয়েছিলেন আলেম নামক কলঙ্ক রুহুল আমিন।
স্বৈরাচারের পা চাঠা কুকুর আওয়ামী লীগের ফতোয়াবাজ দালাল রুহুল আমিন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত খতিব কে মিম্বারে বাধা প্রদান করেন। রুহুল আমিন কে দেখার পর সাধারণ মুসল্লিরা বাইতুল মোকাররম মসজিদ থেকে আবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এবং তাকে মোনাফিক বলে গালাগালি করেন সাধারণ মুসুলিয়া। এতে বাক-বিতন্ডের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রুহুল আমিনের ভাড়া করা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বাইতুল মোকাররমে উপস্থিত থাকা সাধারণ মুসল্লিদের উপর আক্রমণ করেন। এতে বেশ কয়েকজন মুসল্লী আহত হয়েছেন। এক পর্যায়ে সাধারণ মুসুল্লিদের সাথে মসজিদের ভিতরে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। উক্ত সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, পুলিশ, রেব, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। মসজিদের ভিতরে সংঘর্ষ হওয়ার পরে, প্রশাসন বাহিনীকে সাহায্যের জন্য সর্বাত্মক আহ্বান করেছেন সাধারণ মুসল্লিরা। তাতে প্রশাসন কোন সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
উক্ত ঘটনার আলোকে আমার প্রতিবাদ,
গত ২০ শে সেপ্টেম্বর বাইতুল মোকাররমের ঘটে যাওয়া ঘটনা, ফিলিস্তিনের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। আমরা কোরআন ও হাদিসের আলোকে জানতে পারি, মসজিদ হচ্ছে প্রতিটা মানুষের জন্য নিরাপদ স্থল। কিন্তু বিশ্বের ইতিহাসে মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলা ফিলিস্তিনের মাসজিদুল আল আকসা ইতিহাস খুবিই নির্মম। নামাজরত অবস্থায় ইসরাইলের বুলেট এবং বোমা হামলায় মুসল্লিদের শহীদ করা হয়। ঠিক এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে বাইতুল মোকাররমে। বাংলাদেশ ৯৫% মুসলমানের রাষ্ট্র। এদেশে অগণিত আলেম উলামা এবং পীর মাশায়েখদের জন্ম হয়েছে। আবির্ভাব হয়েছে ৩৬০ আউলিয়ার। ৩৬০ আউলিয়ার এই বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ হচ্ছে বাইতুল মোকাররম। বাংলাদেশের ইসলামের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র, মুসলমানদের অন্যতম এবাদত কানা বাইতুল মোকাররম। জাতীয় মসজিদ হওয়ায় বাংলাদেশ মুসলিমদের কাছে বাইতুল মোকাররম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।প্রতি শুক্রবারেই এদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লিরা জুমার নামাজ পড়েন বাইতুল মোকাররমে।গত শুক্রবার বাইতুল মোকাররমে যে হামলা হয়েছে উক্ত হামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে পরিচালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রতিটা সদস্যকে গ্রেফতার এবং কঠোর থেকে কঠোরতম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। উক্ত ঘটনার বিচার সঠিকভাবে না হলে, এদেশের তাওহীদি জনতা তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।
এম.কে.জাকির হোসাইন বিপ্লবী।
একজন প্রতিবাদি কলমযোদ্ধা,
কবি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক ঢাকা।