লেখিকা:প্রিয়াংকা নিয়োগী,♥️
কোচবিহার,ভারত
_______________________
জ্ঞান ভিত্তিক সমাজই চাই,আর সেটার জন্যই সবকিছু।
যে সমাজ যতবেশি লেখাপড়া জানবে,তার দক্ষতাও বেশি থাকবে।উন্নয়নশীল দেশগুলি দেখলে দেখা যাবে সেখানকার পড়াশোনাও উন্নত।পড়াশোনা ভীত শক্ত করে।প্রতিটি বিষয় আমাদের অনেক কিছু শেখায় এবং বিশেষ কিছু ভাবায়।এক একটি বিষয় এক একটি ভাবাত্ব বহন করে।যা ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে সমাজজীবনের দিক নির্দেশনার কাজ করে।
কিন্তু জ্ঞানভিত্তিক সমাজ কিসের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে? জ্ঞানভিত্তিক সমাজের উদ্দেশ্য কি হতে পারে?
পড়াশোনা করেই মানুষ প্রকৃত বিষয় জানে।
একেকজন মানুষ একেকটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে।তার সাথে নিজের দেখা বাস্তবতাকে জুড়ে দেয় এবং নিজের মতো করে সমাজকে দেখতে চায় এবং তার পরামর্শ সেই অনুযায়ী হয়।
জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণে পাঠচক্রের ভূমিকা প্রসঙ্গে বলতে গেলে একটু বিশ্লেষণ প্রয়োজন।
জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণ বলতে বোঝায় একটি সমাজকে জ্ঞানময় করে তোলা।জ্ঞানের দ্বারা সমাজকে সমৃদ্ধ করা এবং তৈরী করা।কোনটা করা দরকার,আর কোনটা করা দরকার না সেটা একটি সমাজ জ্ঞান,যুক্তি ও বুদ্ধির উপর ভর করে চলে।
পাঠচক্র হোলো যেকোনো বিষয়ে গোষ্ঠীবদ্ধভাবে
পরিকল্পনা করা বা আলোচনা করা।
স্বভাবতই কোনো কাজ করার সময় যদি আলোচনা করে করা হয় এবং তার একটি পরিকল্পনা
থাকে,তাহলে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজটি হবে।
আলোচনা জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করে।
পাঠচক্রে যে বিষয়গুলো গৃহীত হবে,তা কার্যক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে।
তাই সেই বিষয়গুলোই গ্রহণ করতে হবে যাতে সমাজ সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে এবং জ্ঞানের পরিচয় দেয়,সমাজ মেধা ও প্রযুক্তির পরিচয় দেয়।
একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ অনেক বৈশিষ্ট্য বহন করে।যেমন –
আদর্শ,শিক্ষা, সুশিক্ষা, সংস্কৃতি,শিল্প, খেলাধুলা,
প্রযুক্তির প্রভাব,স্মার্টনেস।
অর্থাৎ একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ Ideal সমাজও
বটে।
একটি সমাজ সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য অর্থাৎ অর্থবহ বা জ্ঞান যুক্ত হওয়ার জন্য মাসিক আলোচনা সভা বা তিনমাস পরপর আলোচনা সভা
হওয়া অত্যন্ত জরুরী।তাতে ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।সেই আলোচনা সভায় সমাজ কিভাবে সুন্দর ও শিক্ষণীয়ভাবে পরিচালনা করা যায় তা তুলে ধরতে হবে।আর তাদের আলোচনার মধ্যে সঠিক পথ বের করতে হবে যা তাদের কুসংস্কারমুক্ত ন্যায্য পথে অগ্রসর করবে।
সমাজ জ্ঞানভিত্তিক হওয়া মানে এই নয় যে সেই সমাজের মানুষের কথাগুলো শুধু জ্ঞানযুক্ত।বরং কথার সাথে কাজেও ভূমিকা থাকবে। আর এ ক্ষেত্রে “পাঠচক্র” নেতৃত্বের ভূমিকা রাখবে। এই পাঠচক্র আসরে অবশ্যই
বিচক্ষণ সুবুদ্ধি ও কুসংস্কারমুক্ত লোকেরা থাকবে।
বর্তমানে প্রযুক্তিবিদ্যার যুগে মানুষ নিজের মতো করে চলতে ব্যস্ত। তবুও উপযুক্ত আলোচনা উপযুক্ত পথে অগ্রসর করবে।
সমাজ বলতে গ্রাম,শহর এবং রাজ্য সবশেষে একত্রে দেশকে বোঝায়।তাই একটি সঠিক গাইডলাইনের মধ্যে যদি রাখা যায়, তবে সমাজ নৈতিক হয়ে উঠবে।কিন্তু আমাদের মতের বিভিন্নতার কারণে
আমরা ভিন্ন পথ অনুসরণ করি। তবে সঠিক আলোচনা যদি সকলেই একত্রে গ্রহণ করে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে ও মেনে চলে তাহলে সমাজ একটি নৈতিক রাস্তায় হাঁটবে বলে মনে করছি।