মোঃ শুকুর আলী, স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাটে স্ত্রী নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।
৮ সেপ্টেম্বর রবিবার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজার প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্বামী আবু তালহা( ইমন) পিতা রইছ উদ্দিন, মা স্কুল শিক্ষিকা জুয়েনা আক্তার, প্রতিবেশী তাজুদ আলী,বুদু মিয়া বুলবুল মিয়া প্রমুখ।
ভুক্তভোগী স্বামী আবু তালহা ইমন মানববন্ধনে বলেন, ২০২২ সালের ৮ আগষ্ট ইসলামি শরীয়তে তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের ধূতমা গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে সালমা আক্তার’কে দুই লাখ টাকা দেন- মোহরনায় বিয়ে করেন। মোহরনার সব টাকা সঙ্গে সঙ্গে কাবিননামায় পরিশোধ করে দেন তিনি। বিয়ের পর তাদের ঔরশে আদিয়া ইবনাত (ঊষা) নামে একটি কণ্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সন্তান হওয়ার পর থেকে তার স্ত্রী তার সঙ্গে নানা তালবাহানা ও মানুষিক নির্যাতন শুরু করে।
গত তিনমাস আগে তার নিজ বাড়ি থেকে কন্যা সন্তান সহ স্ত্রীর বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। বাবার বাড়ি যাওয়ার পর স্বামী’কে ফোন দিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। তাদের বাড়ি যাওয়ার পর তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্ত্রী সহ তার পরিবারের লোকজন স্বামী’কে মারপিট ও নির্যাতন করেন। এক পর্যায়ে বিবাহিত স্ত্রী বলেন বিয়ের আগের দুই লাখ টাকা কাবিননামা হবেনা। আমাকে আবার নতুন করে পুনরায় ১০ লাখ টাকা কাবিন নামা দিয়ে বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে, নতুবা তার সংসার তিনি আর করবেন না। একথা বলে স্বামী’কে মারপিট করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন। স্ত্রী’র কথা মতো স্বামী রাজি না হওয়ায় গত ২৯ আগষ্ট তাহিরপুর হাসপাতাল থেকে মিথ্যা ইনজুরি সার্টিফিকেট নিয়ে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন মিথ্যা মামলা করে তার স্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রী বাবার বাড়ি যাওয়ার সময়ে তার ঘর থেকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা নিয়ে গেছেন। আমার সন্তানের মুখের দিকে থাকিয়ে সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য স্ত্রীর কথা মতো তাদের বাড়িতে নিজ খরচে থাকেন এবং দুই লাখ টাকা স্ত্রীর কাছে জমা রাখেন। এগুলোর পর ও স্ত্রী এবং তার পরিবারের নির্যাতন থেকে স্বামী কোন অবস্থায় রেহাই পাননি। তিনি হয়রানি ও নির্যাতন এবং মিথ্যা বানোয়াট মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন।
ভুক্তভোগী আবু তালহা ইমনের “মা” জুয়েনা আক্তার বলেন, তিনি একজন স্কুল শিক্ষিকা। তাকেও এই মিথ্যা মামলায় ছেলের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে। তিনি এই মিথ্যা মামলার সটিক তদন্ত এবং অযথা হয়রানি করার বিচার দাবি করেন।