মিজানুর রহমান, নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের ধুতরাহাটি গ্রামে মৃত আবুল কালামের ছেলে আলমগীর হোসেন কবির (৪৮) কে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মূল হোতা জামাই হারুন বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।
আলমগীর মোল্লা উপজেলার রসুলপুর বাজারে ৩ বছর ধরে বিকাশ ও মোবাইল রিচার্জের দোকান করে ব্যবসা করে আসছিল।
৩০ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১১ টায় তার স্ত্রী রাহিমাকে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতেঁ বাড়িতে না ফেরায় ও তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকে ।৩১ আগস্ট শনিবার সকাল অনুমান ১১ টার সময় পরিবারের লোকজন নগরকান্দা থানা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারে এবং ঘটনা স্থল রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানা থেকে আলমগীর এর লাশ সনাক্ত করে।পুলিশ জানায় গোয়ালন্দ ঘাট থানাধীন দেবগ্রাম ইউপি পুরাতন তেনাপচা সাকিনস্হ বিএনপির বটতলা মোড়ের পাশে পেয়ার আলী মোড়ে যাওয়ার রাস্তায় কাদের কলাগাছের বাগানের পাশে রক্তাক্ত মৃত্যু অবস্থায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ৩১ আগস্ট নিহতের ভাই মোঃ ইছাহাক মোল্লা (৩৬) পিতা মৃত আবুল কালাম মোল্লা গ্রাম ধুতরাহাটি থানা নগরকান্দা গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি অভিযোগ করেন।
লাশ দাফন সম্পুর্ন হওয়ার আগেই
স্হানীয় রসুলপুর বাজারে গিয়ে নিহতের পরিবারের লোকজন জানতে পারে সে একটি অটোগাড়িতে চড়ে তালমার দিকে গেছে।বাড়ি ও বাজারের লোকজনদের কাছে জানতে পারে আলমগীর মোল্লার সাথে পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার গট্রি ইউনিয়নের চন্দ্র পাড়া গ্রামের ইউনুস ওরফে ইনু খন্দকারের মেয়ে জামাতা হারন মোল্লার সাথে বন্ধুত্ব।হারনের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার কাশিমা গ্রামে তার পিতার নাম মোনতাজ আলী মোল্লা। হারনের স্ত্রী চামিলি বেগম বলেন ঘটনার দিন সকাল ৯ টার সময় আমার স্বামী আমার বাবার বাড়ি চন্দ্রপাড়া থেকে বের হয়ে কোথায় গেছে জানিনা তার ফোন বন্ধ রয়েছে। স্হানীয় চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া বলেন, পলাতক জামাই হারুন মোল্লা ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিষপান করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।