স্টাফ রিপোর্টার:
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে যুক্তরাজ্য প্রবাসী দুই সহোদর মিনাল আহমেদ চৌধুরী, দিলাল আহমেদ চৌধুরী ও অপর প্রবাসী নবীগঞ্জ শহরের আরজু রেষ্টুরেন্ট ও ডিপাটমেন্টাল ষ্টোরের স্বত্বাধিকারী আবুল হোসেন জীবন, ছাত্রলীগের হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশ রাফি চৌধুরী এবং কুহিনুর চৌধুরীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সিলেট সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা করা হয়েছে। মামলা দায়ের করেন হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনির নির্বাহী সম্পাদক মুরাদ আহমদ। গত মঙ্গলবার দায়েরকৃত মামলার শুনানী শেষে আরজিতে সংযুক্ত অভিযোগ তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সিআইডির পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন সাইবার ট্রাইবুনালের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মনির কামাল। সংবাদ প্রকাশের জের হিসেবে সাংবাদিক মুরাদ আহমদ কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন আপত্তিকর পোষ্ট আপলোড,শিয়ার এবং কমেন্টে মানহানিকর আপত্তিকর শব্দ চয়নের প্রেক্ষিতে তিনি ওই মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে প্রকাশ,নবীগঞ্জ শহরের মদীনা জামে মসজিদের কমিটি গঠন ও শহরের হাসপাতাল রোডস্থ খালিক মঞ্জিলের সত্বাধিকারী মরহুম ছানু মিয়া চৌধুরীর বাসার মালিকানাধীন অংশে ভাংচুর,তালা দিয়ে কেয়ারটেকারকে তাড়িয়ে দেযার ঘটনায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী বৃটিশ নাগরিক জোছনা চৌধুরী কর্তৃক স্থানীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে দেয়া একটি অভিযোগ নিয়ে দুটি সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক হবিগঞ্জ জনতার এক্সপ্রেস পত্রিকায় মিনাল আহমদ চৌধুরী,আবুল হোসেন জীবন,আব্দুর রকিব,মোঃ আব্দুল মন্নান নামে প্রতিবাদলিপি প্রকাশিত হয়। প্রতিবাদলিপিতে মসজিদ কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ আব্দুর রকিব এবং ক্যাশিয়ার হিসেবে মোঃ আব্দুল মন্নানের নাম ব্যবহার কার হলেও ওই দু’জন প্রতিবাদলিপির বিষয়ে অবগত নন বলে নিশ্চিত করেন। প্রতিবাদে তাদের স্বাক্ষর না থাকায় জালিয়াতির অভিযোগ উঠে। উক্ত প্রতিবাদের শেষাংশে সাংবাদিক মুরাদ আহমদ কে নিয়ে অত্যন্ত মানহানিকর শব্দ প্রয়োগ এবং সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শিয়ার করেন মামলায় প্রধান অভিযুক্ত মিনাল আহমেদ চৌধুরী । অন্য আসামীরা বিভিন্ন আপত্তিকর শব্দ যুক্ত করে ফেসবুকে আপলোড, ও শেয়ার, কমেন্ট করেন। এগুলোর স্কিনশট যুক্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।