মাহমুদুল হাসান লিমন,
জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী:
নরসিংদী'র মনোহরদিতে হিজাব নেকাবকে হাতির শুড় এর সাথে তুলনা করেছেন নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ ফখরুল আমিন। গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে তার নির্ধারিত বিষয়ের ক্লাস নেওয়ার জন্য অষ্টম শ্রেণীর শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করেন। প্রবেশের পরপরই সকল ছাত্রীদের মুখের মাক্স ও নেকাব খুলে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন। এতে ছাত্রীরা আপত্তি জানালে শিক্ষক ফখরুল বলেন নেকাব পড়লে মেয়েদের সামনের অংশ হাতির শুড়ের মতো লাগে। এছাড়াও হিজাব নেকাবকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় অনেক আপত্তিকর মন্তব্য করতে থাকেন। এ সময় সায়মা নামক এক ছাত্রীকে নেকাব খুলে গান গাইতে নির্দেশ দেন শিক্ষক ফকরুল আমিন। প্রতিউত্তরে সাইমা নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন স্যার আমরা তো মাদ্রাসার ছাত্রী আমরা গান জানি না। একথা শুনে ফখরুল রাগান্বিত হয়ে সায়মা কে হাতে চর ও কিল ঘুসি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে হাতে লাঠি নিয়ে মারপিট করতে থাকলে সায়মা চিৎকার করিতে থাকেন। একই কায়দায় আরেক ছাত্রী সুপ্তি আক্তার কে নেকাব খুলে গান গাইতে নির্দেশ দেন শিক্ষক ফখরুল আমিন। সুপ্তি আক্তার অপারগতা প্রকাশ করিলে শিক্ষক ফখরুল আমিন চরম রাগান্বিত হইয়া চড়-ঘুষি মারতে থাকেন এবং একপর্যায়ে লাঠি নিয়ে মারপিট করতে থাকেন। এতে সুপ্তি আক্তার চরম ব্যথা পাইয়া চিৎকার ও ক্রন্দন করিতে থাকেন। এতে শিক্ষক ফখরুল আরো ক্ষিপ্ত হইয়া জোরে গলায় বলতে থাকে আমি ক্লাসে আসার সাথে সাথে সকল মেয়েরা হিজাব ও নেকাব খুলে ফেলবি নয়তো ক্লাস থেকে বের করে দিব। নেকাব পড়লে মেয়েদের মুখের অংশ তীর হাতির শুড় এর মত লাগে। এই ঘটনা নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসীদের মধ্যে দারুন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জানায় একজন মাদ্রাসার শিক্ষক হয়ে তিনি যেভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন এবং মারপিট করেছেন তিনি শিক্ষকতা করার যোগ্যতা হারিয়েছেন। আমরা তার পদত্যাগ ও বিচার চাই। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এমন শিক্ষককে আমরা এই মাদ্রাসায় আর দেখতে চাই না। আমরা বিচার চাই ; বিচার না পাইলে আমরা ছাত্রছাত্রীরা বৃহৎ আন্দোলনে যাবে।শিক্ষকদের মধ্যে কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন এক ম্যাডামের সাথে টিফিনের টাইমে নামাজে না গিয়ে একান্তে কথাবার্তা বলতে দেখা যায় সব সময় এই শিক্ষক ফখরুল আমিন কে। এছাড়াও কারণে অকারনে সে বিভিন্ন ক্লাসের মেয়েদের গায়ে হাত বুলিয়ে দেয়। সে ক্লাসের মধ্যে সুন্দরী মেয়েদের সাথে সহনীয় আচরণ ও একটু কালো মেয়ে হলে অ অশোভন আচরণ করে। মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায় তার ইনডেক্স আইডি নং 20 26 925।সে মনোহরদী থানার কুতুবদী গ্রামের মৃত তারা মিয়া এর পুত্র। ২০০৪ সালের ৪ ডিসেম্বর অসাধু উপায়ে তিনি নবম গ্রেডে অত্র মাদ্রাসায় চাকরি পান। এতদিন সে আওয়ামীপুষ্ট হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়নি।