এস এম রকিবুল হাসান, নিয়ামতপুর(নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের গন্ধশাইল গ্রামের পরকীয়ায় জড়িত সেতারা বেগম নামের এক নারীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ও মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে গন্ধশাইল গ্রামের বাসিন্দারা। সেতারা বেগম তার পেটুয়া বাহিনীর সহায়তায় ১০ টি মিথ্যা মামলায় প্রায় ৩০-৪০ জন নারী ও পুরুষকে মামলা দিয়ে গ্রামের লোকজনকে হয়রানি করছেন বলে জানান মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা। সেতারা বেগম গন্ধশাইল গ্রামের মৃত সেরাজ উদ্দিনের মেয়ে।
রবিবার সকালে নিয়ামতপুর প্রেসক্লাবের সামনে গন্ধশাইল (মধ্যপাড়া) গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হুজ্জোতুল্লাহ বকুল, কাকলি বেগম, হাসিনা বেগম, আব্দুস সাত্তার, ফরিদ মন্ডল প্রমূখ।
হুজ্জোতুল্লাহ বকুল তার বক্তব্যে বলেন, এই মহিলা ২৪ বছর আগে থেকে আমার পেছনে লেগে রয়েছে। আমি বিদেশে থাকায় আমার অর্থ-সম্পদের ওপর তার নজর পড়ে। গত ১১ সেপ্টেম্বর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে সন্মানহানি ঘটায়। সংবাদ সম্মেলনে ওই মহিলা দাবি করেন ১৯৯৯ সালে আমি তাকে বিয়ে করি। ২০০৫ সালে তার পেটে সন্তান আসে এবং ২০০৬ সালে আমি তাকে ডিভোর্স করি। তারপর তিনি নওগাঁ আদালতে আমার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু আইনে মামলা করেন। মামলায় সঠিক তথ্য ও উপাত্ত দেখাতে না পারায় আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। এরপর থেকে নানাভাবে আমাকে হেনস্তা করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। ২০২৩ সালে তার পেটুয়া বাহিনীর সহায়তায় অস্ত্রের মুখে উঠিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক বিবাহ করতে বাধ্য করান। বিবাহের এগারো দিনের মাথায় আমি তাকে ডিভোর্স করি। এখন সে স্ত্রীর মর্যাদা ও তার কন্যার দাবি নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করছে। তিনি চ্যালেন্জ জানিয়ে বলেন ওই মহিলার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। ডিএনএ পরীক্ষা করলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু সংবাদ প্রকাশের জেরে আমার মানসম্মানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
মানববন্ধনে পাঁড়ইল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হাসিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমার ছেলে ও আমাকে জড়িয়ে অবৈধ সম্পর্কের জেরে এখন পর্যন্ত ৭ টি মামলা করছে। তাঁর পরকীয়ায় অতিষ্ট গ্রামবাসীর মুক্তি ও তাঁর বিচার দাবি করছি।
গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আব্দুস সাত্তার বলেন, এই মহিলার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও কোন লাভ হয়নি। তার অত্যাচারে ওর বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সুযোগ নেই। গ্রামের উঠতি বয়সী তরুনরাও তার হাত থেকে রেহাই পায় না। এই মূহুর্তে তাকে প্রতিহত না করলে সমাজে অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব হবে না।
বিষয়টি সেতারা বেগমের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেন।
নিয়ামতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আল মাহমুদ বলেন, কারও কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আইনের সহায়তা নিতে পারেন।