সুলতানা রাজিয়া স্টাফ রিপোর্টার:
সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় এবং এর জন্য দরকার স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন। বাংলাদেশ কংগ্রেস আয়োজিত “নির্বাচন ব্যবস্থার সংষ্কার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় করণীয়” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেছেন বক্তারা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করে, পরিচালনা করে না। নির্বাচন পরিচালনা করে সরকারের নির্বাহী বিভাগ। ভোটার তালিকা তৈরী ও তফসিল ঘোষণা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের হাতে আর কিছু নেই। এই নির্বাচন ব্যবস্থার সংষ্কার ছাড়া কোন সংষ্কারই সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রঊফ বলেন, ভোট দিতে হবে দলকে, ব্যক্তিকে নয়। আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদীয় ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে এবং সকল নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। তিনি বলেন, কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত অসৎ ও দুর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের মাধ্যমে অযোগ্য, মেধাহীন ও দুর্নীতিগ্রস্থ প্রশাসন বিস্তার লাভ করে।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র এ্যাডভোকেট সুব্রত চেীধুরী (গণফোরাম), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ আব্দুল লতিফ মাসুম, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ডঃ মোহাম্মদ জকরিয়া, বাংলাদেশ জাসদ’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশ গণআজাদী লীগ’র সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, কাঙ্খিত বাংলাদেশ এর সমন্বয়ক ও বিশিষ্ট রাস্ট্র চিন্তক মোঃ আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি’র মহাসচিব এ্যাডঃ জাফর আহমেদ জয় ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ডঃ গোলাম রহমান ভূইয়া। বক্তাগণ বলেন, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর রাজনৈতিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রতি গুরুত্ব দেন। তারা বলেন, দুই বারের বেশী কারও রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিৎ নয়।
গোলটেবিল আলোনায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজমুল মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম. তাহের উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ তুষার রহমান, কৃষি, খাদ্য ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তোফায়েল আহমেদ, যোগাযোগ ও বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আজিজুল হক সুমন, সমাজ সেবা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ মাইনুল ইসলাম, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আবু সায়েম মোহাম্মদ সাদত-উল করিম, যুগ্ম অর্থ সম্পাদক মোঃ রেদোয়ান হোসেন, যুগ্ম যোগাযোগ ও বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ খোকন খন্দকার বাবু, যুগ্ম সমাজ সেবা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবু জাফর, যুগ্ম সাহিত্য ও সাংষ্কৃতিক সম্পাদক হাসান শেঠ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।