কামাল উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার:
গনঅভ্যুত্থানের প্রেরনায়নশহীদ পরিবারের সাথে স্বাক্ষাত এবং দূর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র নাগরিক মতবিনিময় সভা।
১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড় জেলার আয়োজনে পঞ্চগড় সরকারী মকবুলার রহমান কলেজের মাঠে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বির সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জার্জিস আলম।
তিনি বলেন, সব সেক্টরকেই দূর্নীতি মুক্ত করতে হবে। হাসপাতাল, কোর্ট, ভুমি অফিস সব জায়গাতেই ঘুষ লাগে।
মাদকের আখড়া হিসেবে দেখতে চাইনা। তরুন প্রজন্মকে মাদকের হাত থেকে বাচাতে হবে। সন্তান কে চিরকালের হাত থেকে বাচার জন্য মাদক হতে দুরে থাকতে হবে। আপনার সন্তানকে আগামী প্রজম্মের জন্য গড়ে তুলতে মাদককে মুলতঃপাটন করতে হবে। যারা মামলা মামলা নিয়ে ব্যবসা করা হয় তাদের বিরুদ্ধে সচ্চার হতে হবে। চাদাবাজ আর সিন্ডিকেট কে ফু মেরে উড়িয়ে দিতে হবে।
তরুন প্রজম্মকে আদর্শবান প্রজম্ম হিসেবে তৈরি করতে পঞ্চগড়ে সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এখানে স্কুল, কলেজের পিয়ন, ঝাড়ুদারসহ কর্মচারী নিয়োগে নিয়োগ বানিজ্য করা হয়। ১৫ হতে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়া হয়। সেটা টাকা নিয়ে আপনারা ঘুমান কেমনে।
দল আর মার্কা দেখার দিন শেষ। এখন যোগ্যতা দেখার সময়। সমন্বয়কদের মধ্যে বক্তব্য দেন মিশু আলী বলেন, আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। দেশ স্বাধীন করেছি ঠিকই। তবে এ স্বাধীনতা আমাদের কে রক্ষা করতে হবে।
রাকিব রানা মাসুদ বলেন, আমার সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। বাংলাদেশকে আমরা স্বাধীন করেছি ঠিকই তাদের দোসররা এখনো দেশে অবস্থান করছে। তাদেকে বিতাড়িত করতে হবে।
তরিকুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ের ভারি শিল্প পঞ্চগড় চিনিকল কেন বন্ধ করা হয়েছে, পঞ্চগড়ের কৃষকেরা কেন তাদের চায়ের পাতার মূল্য পাচ্ছেনা। পঞ্চগড়ে তো পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কিন্তু ভারত থেকে ঠিকই পাথর আমদানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে পঞ্চগড় জেলা সব চেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হন। পঞ্চগড়ের সাধারন মানুষ উন্নত মানের চিকিৎসা পান না কেন। কেন তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর আর শিলিগুড়ি কেন যাবে। পঞ্চগড় হবে উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের কে যারা বির্তক করবে তাদের কে আমরা ছাড়বো না।
জহির রায়হান বলেন, দেশ থেকে এখনো দূর্নীতি শেষ হয়ে যায়নি। আর কোন দর্নীতি করতে দেয়া হবেনা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করেছিলাম।
আবু সাঈদ স্বপন বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরেও তার বীজ এখনো দেশে রয়েছে।
বাংলাদেশকে গোলাম বানানোর জন্য এখনো তারা আমাদের পিছনে লেগেছে। বাংলাদেশ সরকার কে দেশ পূর্ন গঠন করার জন্য যতটুকু সময় লাগে ততটুকু সময় দিবো। ছাত্রদের আমাদের পাশে থাকার জন্য আহবান করা হল।
মতবিনিময় সভায় পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ, ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।