কাইথাং খুমী, থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
পাহাড়ি এলাকা গুলোতে জুমের ধান কাটা হচ্ছে।
তিন্দু ইউনিয়নের কোঅং খুমী পাড়া এলাকার জুমের ধান কাটা হচ্ছে। ধানের মিলন যেদিকে চোখ যায়, সবুজ পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে জুমের পাকা সোনালি রঙের ধান। জুমিয়াদের মুখে হাসি। কেউ ধান কাটা শুরু করেছেন, কেউ পাকা শুরু হয়েছে এমন জুমের ধান পাহারা দিতে সপরিবারে জুম খেতে উঠেছেন। কেউ ধান কাটার আগে সাথি ফসল বিশেষ করে মিষ্টি কুমড়া, ভুট্টা, মারফা সংগ্রহ করা শুরু করেছেন। অনেকে জুমের পাকা ধান কাটার জন্য উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা করছেন। বিভিন্ন এলাকার মতো থানচির জুমচাষিদেরও এখন দম ফেলার ফুসরত নেই, জুম চাষের ফলন তোলায় চলছে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ।
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকার এসব মানুষ সম্পূর্ণ প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে একধরনের চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন যুগ-যুগে এই চাষে কোনো সেচ দেওয়া লাগে না, প্রাকৃতিকভাবে রোদ-বৃষ্টি যা হয় তাতেই ফসল ফলে। এই চাষ পদ্ধতি পরিচিত জুম চাষ নামে। নির্দিষ্ট একটা সময়ে পাহাড়ের বন-জঙ্গল কেটে রোদে শুকিয়ে, আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এটাই জুম।
জুমের ফসল সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন জুমচাষিরা।
তিন্দু ইউনিয়নের কোঅং খুমী কারবারি পাড়া এলাকায় শনিবার গিয়ে দেখা যায় পাড়ার বাসিন্দা জুমচাষি লাইথং খুমী (৩৫) পরিবার নিয়ে জুমের পাকা ধান কাটছেন। ধান কাটতে কাটতে তিনি জানান, এবার আগের তুলনায় জুমের ধান তেমন ভালো হয়নি, প্রাকৃতিক জলবায়ু পরিবর্তন ও অনাবৃষ্টি কারণে ধানের শীর্ষ নষ্ট হয়। এখন সময়মতো কিছুই হয় না, প্রকৃতিও উল্টো হয়েছে। তাও নতুন ফসলে পাওয়ার উপেক্ষা।