শফিকুল ইসলাম, রায়পুরা প্রতিনিধি :
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় অলিপুরা ইউনিয়নে অলিপুরা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দার পৈত্রিক সম্পত্তি জালিয়াতিভাবে বঞ্চিত ও বসতবাড়ি নির্মাণে অযথা মিথ্যা মামলা হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে জানা যায় যে,পৈত্রিক সম্পত্তি জালিয়াতিভাবে বঞ্চিত ভুক্তভোগী ইকবাল হোসাইন।তার বাবা ছিলেন একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আর্দশবান শিক্ষক। তার পেনশনে
উত্তরাধিকার সনদপত্র ও অবসর ভাতা উত্তোলনের ক্ষমতা মনোনয়নের প্রত্যয়নপত্রে নাম থাকার স্বত্বেও তার পৈত্রিক সম্পত্তি ভুক্তভোগীকে জালিয়াতিভাবে বঞ্চিত করে আলমগীর, জাহাঙ্গীর, হুমায়ুন কবির ও বায়েজিদ মাহমুদকে অল্প পরিমাণ সম্পত্তি কমে হেবামূলে দলিল করে নেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা স্থানীয় একটি সালিসি দরবারে ভুক্তভোগীকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষদের একটি লিখিত অঙ্গীকারবদ্ধ এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।
ভুক্তভোগী ইকবাল হোসাইন জানান,আমি তখন বিদেশে ছিলাম, আমার বাবা হজ্বে যাওয়ার সময় আমাদের সকল ভাই-বোনদের মধ্যে তার সম্পত্তি সমান হারে বন্টন করার লক্ষ্যে বিশ্বাস ও সরল মনে আলমগীরকে দায়িত্ব দেন।এই সুযোগে আলমগীরসহ বিশ্বাসঘাতকদের কু-পরার্মশে আমাকে জালিয়াতিভাবে বঞ্চিত করে। প্রতিপক্ষরা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি হেবামূলে সম্পত্তির মালিক হন।পরবর্তীতে আমি যখন কয়েক বছর পর বাড়িতে আসি,তখন আমি বুঝতে পারি আমাকে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে জালিয়াতিভাবে বঞ্চিত করে।এই জালিয়াতিতে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করায় তখন আমি তৎকালীন প্রাক্তন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগে বিচার প্রার্থনা করি।এই লিখিত অভিযোগটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য বাদল,সাবেক ইউপি সদস্য এলাহি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আঃমালেক ভুঁইয়া, অলিউর রহমানসহ আরও অনেকের উপস্থিতিতে সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার জন্য তৎকালীন প্রাক্তন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে স্থানীয় একটি সালিসি দরবার হয়।
এখন আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তির উপর বসতবাড়ি নির্মাণে অযথা মিথ্যা মামলা হয়রানির পায়তারা চালাচ্ছে।
তাছাড়া ভুক্তভোগীর ভাই বায়েজিদ মাহমুদ জানান,আমি আমার বাবা-মায়ের ছোট সন্তান।আমার ভাই ইকবাল হোসাইনকে তারা জালিয়াতিভাবে তার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে থাকে। এ ব্যপারে আমি তার পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার সহযোগিতায় এগিয়ে আসলে তারা আমাকে বিভিন্ন হুমকি ও অযথা মিথ্যা মামলা হয়রানির প্রতিনিয়ত স্বীকার হচ্ছি।
রায়পুরা থানা পুলিশ উপপরিদর্শক নেছার উদ্দিন জানান,এই সম্পত্তির উপর বসতবাড়ি নির্মাণে না করার লক্ষ্যে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিপক্ষ একটি মামলা দাখিল করে।আমি তা দ্রুত দুই পক্ষই যেন বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি না করে বিজ্ঞ আদালতের নোটিশ প্রদান করি।বিজ্ঞ আদালতে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হওয়ার পর্যন্ত যেন আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখে।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য কয়েকবার মুঠো ফোন করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।