স্টাফ রিপোর্টার:
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কর্তৃক ১০ম গ্রেড দাবিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গত ১লা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০ ঘটিকায় মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড নিছক কোনো দাবি নয়, এটা ন্যায্য অধিকার। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য যোগ্যতা, স্নাতক সমমান (২য় বিভাগ) বেতন গ্রেড ১৩তম। পাশাপাশি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগের যোগ্যতা স্নাতক সমমান, বেতন গ্রেড ১০ম। পুলিশের উপপরিদর্শকের নিয়োগের যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান, বেতন গ্রেড ১০ম। হাসপাতালের নার্সদের নিয়োগের যোগ্যতা বিএসসি ইন নার্সিং, বেতন গ্রেড ১০ম। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিয়োগের যোগ্যতা ৪ বছর মেয়াদি কৃষি ডিপ্লোমা, বেতন গ্রেড ১০ম। ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের নিয়োগের যোগ্যতা স্নাতক, বেতন গ্রেড ১০ম, যেহেতু বর্তমান সময়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক, সেক্ষেত্রে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদেরও ১০ম গ্রেড দাবি বাস্তবাযন করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্তরে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে তৃতীয় শ্রেণির মর্যাদায় রেখে দেওয়া হয়েছে। চরম একটা গ্রেড-বৈষম্যের শিকার হয়ে আছেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকেরা।শিক্ষকদের এই দাবি নিয়ে মানববন্ধন, আন্দোলনসহ সরকারের বিভিন্ন দফতর ও উচ্চ পদস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতেও ফলপ্রসূ বা সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। বর্তমান সরকার যেন প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রাণের দাবি ১০ম গ্রেড অতিশীঘ্রই বাস্তবায়ন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কাজী সুলতান মাহমুদ, হোসনে আরা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, মো. আজিজুর রহমান, মো. ইয়াছিন ভূঁঞা, শাহিদুল আলম, নারগিস আক্তার, সিনিয়র শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক নেতা মো. কামাল উদ্দিন ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ফুলগাজী শাখার সেক্রেটারি আবু মুসা মজুমদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালচনা করেন সঞ্জয় কুমার সেন এবং সভাপতিত্ব করেন কাজী আফচার হোসেন। মানববন্ধনে প্রায় উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের তিনশতাধিক সহকারী শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
তানিয়া ভূঁইয়া'র হাতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।