মো: বায়েজিদ বোস্তামী, বিশেষ প্রতিনিধি (কিশোরগঞ্জ)
২০২৪ ইং সালে ভারতের ডুম্বুর বাঁধ দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পানির স্রোতে ভয়াবহ বন্যার কারণে বানভাসি জনগোষ্ঠী অত্যন্ত দু:খ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। চলমান বন্যায় নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্লাবিত হওয়ায় পানি বন্দি হয়ে আছে অনেক পরিবার। বৃদ্ধ, শিশু ও গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু সহ অনেকে সহায় সম্বল ও স্বজন হারানোর বেদনা সকলকে করেছে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ধনী- গরীব সকলেই এখন অনাহারে মানসিক ও শারীরিকভাবে হয়ে পড়েছে অত্যন্ত দূর্বল। তার মধ্যে এফএইচপি সংস্থার কয়েকটি শাখায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় মানবেতর জীবনযাপনে বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্থে ৬০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে এগিয়ে আসেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলা দড়িকান্দি গ্রামের স্বনামধন্য এনজিও প্রতিষ্ঠান সোসাইটি ফর ফ্যামিলী হ্যাপিনেস এন্ড প্রসপারিটি ( এফএইচপি)। বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্থে প্রতি বস্তায় খাদ্য সামগ্রী ছিল ৫ কেজি চাউল, ১ কেজি ডাল, ৫০০ গ্রাম সয়াবিন তৈল এবং ১ কেজি আলু। সংস্থার শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সকল স্তরের নিবেদিত কর্মীবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অংশগ্রহণে ৬০০ পরিবারের খাদ্য সামগ্রী ক্রয়, প্যাকেটজাতকরণ, মালবাহী গাড়িতে উঠানামা করা এবং রোজ শুক্রবার ৩০.০৮.২৪ইং তারিখ কুমিল্লা অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যায় দুর্গত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে প্রতিটি খাদ্য সামগ্রী সম্বলিত বস্তা বুঝিয়ে দেন।
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক জনাব কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে দেশের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়তে প্রায় ২০ বছর যাবৎ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় সেবাদান কার্যক্রম ১৩৬টি শাখায় সহস্রাধিক কর্মী বাহিনী নিয়ে অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে অব্যাহত রেখেছে এই স্বনামধন্য সংস্থাটি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী এফএইচপি সহ অনেক ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান এই দুর্দিনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এভাবেই একদিন আমাদের সোনার বাংলাদেশ সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠবে বলে সুশীল সমাজের মতামত।