এম.কে. জাকির হোসাইন বিপ্লবী:
আহত ব্যক্তিদেরকেও ছাড় দেয়নি আওয়ামী লীগ।
দৈনিক ইত্তেফাকের সূত্র অনুসারে আন্দোলন চলমান অবস্থায়, ইটের আঘাতে এক ব্যক্তি রাস্তায় লুটিয়ে পরে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে লগি বৈঠা দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। অতিরিক্ত আঘাতের ফলে, এক পর্যায়ে ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ কর্মীরা লাশের চারপাশ ঘিরে শ্লোগান দিতে থাকে। তখনই সংবাদ কর্মীরা ধারণা করেছিলো যে, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে জানা যায়
নিহত সেই ব্যক্তি ইসলামী ছাত্র শিবিরের একজন নেতা। তার নাম মুজাহিদুল ইসলাম মুজাহিদ। তিনি ছিলেন মিরপুর ১০ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি। উক্ত ঘটনার দৈনিক ইত্তেফাকের সূত্র অনুসারে, ইটের আঘাতে আহত হওয়ার পরে লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে মুজাহিদুল ইসলাম কে। বর্বরতার সীমা কতটা অতিক্রম করলে এরকম নির্মমভাবে একজন আহত যুবককে পিটিয়ে হত্যা করতে পারে। তা আমার সঠিক জানা নেই, তবে ২৮ শে অক্টোবরের ইতিহাস এতোটাই নির্মম যা প্রকাশ করার ভাষা খুঁজতে গিয়ে গা শিউরে উঠছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে ২৮ শে অক্টোবর। আর সেই ২৮ শে অক্টোবরের খল নায়িকা ছিলেন ২০২৪ এর ছাত্র জনতার গণ অভূত্থানে পতন হওয়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। ২৮শে অক্টোবর সহ বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া আরও অনেক জঘন্যতম বর্বর ঘটনা রয়েছে, যা কলমের ভাষায় প্রকাশ করে শেষ করা যাবে না। শুধু একজন মুজাহিদ নয়, আরো কত শত মুজাহিদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বাংলার জমিন, এবং তার ইতিহাস কতটা বর্বর সেটা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। আমি সেই ইতিহাস গুলো এই গল্পে টানতে চাচ্ছি না। তবে প্রতিটা ঘটনার বিস্তারিত বিশ্লেষণ তথ্য সহকারে আপনারা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকুন। অন্যান্য গল্পে সেগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।