মকবুল হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি
আমরা এখানে জনগণের সেবা করতে এসেছি, দেশের সেবা করতে এসেছি। চলুন পরিবর্তনের একটা উদাহরণ সৃষ্টি করি। নতুন বাংলাদেশে নতুন করে জনগণের সেবক হিসেবে নিজেদের তুলে ধরি। কাজে-কর্মে নিজেদের দায়িত্বগুলো দৃশ্যত প্রতীয়মান করি।
আজ ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০:০০ঘটিকায় অনলাইন জুম মিটিং-এ বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির আগস্ট/২৪ মাসের সভায় এসব কথা বলেন কমিটির সভাপতি ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া।
সভায় সভাপতি সকলকে স্বাগত জানিয়ে সভার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগীয় দপ্তরপ্রধানকে তার দপ্তরের সামগ্রিক কাজের অগ্রগতি জানতে চান এবং জরুরি নির্দেশনা প্রদান করেন। শুরুতেই ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইউসুফ আলী মশা নিধন, যানজট নিরসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বহুতল ভবনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শম্ভুগঞ্জ ব্রীজের ফুটপাত দখল নিরসন এবং পার্কে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধনে চলমান কাজের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। এসময় সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এবং সমন্বয় কমিটির সভাপতি হিসেবে উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, আমরা ময়মনসিংহকে 'ক্লীন সিটি' (পরিষ্কার নগরী) হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এখানে প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ জনগণেরও কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। নাগরিকদের নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। নতুবা শুধু সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী দ্বারা পুরো সিটি পরিষ্কার প্রায় দুঃসাধ্য। আপনাদের মাধ্যমে আমরা সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা চাই। এছাড়াও সভাপতি ময়মনসিংহ সদর থেকে মুক্তাগাছা হাইওয়ে রোডের অসমাপ্ত কাজ, চরপাড়া মোড় সংলগ্ন কালভার্ট এবং নেত্রকোনা সদর থেকে কলমাকান্দা হয়ে সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধির দৃষ্টি আকর্ষণ করে সভাপতি বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যা কবলিত এলাকায় বীজ ও অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করা যায় কি না। প্রতিনিধি বলেন, বীজতলা যা হয়েছিল তা রোপণ ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বীজ যা দরকার তার চাহিদা প্রেরণ করেছি। আমাদের পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে।
বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ছাগল ও ভেড়ার প্রাণঘাতি পাতলা পায়খানা ও জ্বর প্রতিরোধী পিপিআর ভ্যাক্সিন প্রায় ১৪লক্ষ প্রাণীকে দেওয়া হয়েছে।
শিশুরা অশালীন কাজ করছে, শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ করছে, তাদের গায়ে হাত তুলছে, তাদেরকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে ছাত্রদের এমন আচরণ প্রত্যাশিত নয়। এটি খুবই অশনিসংকেত। বাচ্চারা খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে এ কাজগুলো করছে। তাদের এ অবস্থা থেকে স্কুলে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। শুধু নাম্বার পাবার জন্য নয়, ভালো মানুষ হওয়ার জন্য, নৈতিকতা শেখার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করেন সভাপতি। ভেজাল মৎস্য খাবার বিক্রি বন্ধে তদারকি, পরিবেশ বিপর্যয় রোধে পলিথিন ব্যবহার হ্রাস, ইটিপিভুক্ত শিল্পকারখানা নিয়মিত মনিটরিং করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করেন সভাপতি।
এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সকল দপ্তরের কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন সভাপতি।