তোফায়েল আহমদ: সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো চীফ:
মো: আলী হোসেন পিতা:ফয়জুর রহমান সাং- সাদিনাপুর, থানা : বিয়ানীবাজার, জেলা সিলেট কে আসামী করে সিলেট জেলা জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে।মামলায় রোকেয়া বেগম মামলার এজহার সূত্রে উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন থেকে একটি চক্র আমার পরিবারের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। কখনো আমার ছেলেদেরকে হুমকি, দামকি ও প্রানে মারার ভয় দেখায় আবার কখনো পরিবার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে আসছে। গত ২৫/০৫/২০২৪ ইং ও ২৮/০৮/২০২৪ ইং তারিখের দুটি উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, আমার ছেলে জুবেল আহমদ কাতার প্রবাসে থাকায় তাহার স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় সে তাহার স্ত্রী আবেদা বেগমকে তালাকের সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে কৌশলে আলী হোসেন তালাক দেওয়াইয়া দিবে এবং মামলা মোকদ্দমা হবে এরকম ভয়ভীতি দেখাইয়া বিভিন্ন সময় বিকাশ পারসোনাল / এজেন্ট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম্বার ব্যবহার করে কলাকৌশলে,বিদেশে হুমকি দামকি দিয়ে ৪,০০০০০/-(চার লক্ষ টাকা) আত্নসাত করে এবং মামলা হয়েছে মর্মে জানায়। মামলার বাদী রোকেয়া বেগম অতি সহজ,সরল গ্রামের মানুষ হওয়ায় ভয় পেয়ে তাহার ছেলেকে বলে টাকাটা পরিশোধ করেন। এমতাবস্থায় মামলার আসামী মো:আলী হোসেন বাদীর সাথে ও বাদীর আত্নীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং সে এই বিষয় সমাধান করতে পারবে না বলে জানায়। তাহার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে কোর্টে আসিয়া বাদী জানিতে পারেন তাহার ছেলের নামে মামলা হয়েছে যেখানে বাদী তাহার স্ত্রী আবেদা বেগম। আসামী আলী হোসেন জানায় আবেদা বেগম কোর্টের কথা মানে নাই তাই সে ঐ টাকা গুলো পাবে না এবং আলী হোসেনকে কোর্ট টাকাগুলো ফেরত দিচ্ছে না। এমন সব আজগুবি কথা শুনিয়া বাদী রোকেয়া বেগম মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যান এবং আদালতের স্মরনাপন্ন হতে বাধ্য হোন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। রোকেয়া বেগম বলেন, বাবা আমি গরিব মানুষ আমার ছেলে ও আমার সাথে যে প্রতারনা করেছে আলী হোসেন আমি তার বিচার দাবী করছি এবং তিনি আরো বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা যেন তদন্ত স্বাপেক্ষে সত্য বিষয়টি উদঘাটন করে আদালতে তদন্ত রিপোর্টটি দ্রুত জমা দেন সেই জন্য আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।