এম.কে.জাকির হোসাইন বিপ্লবী:
বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে,
"রতনে রতন ছিনে
আর কৃপণে ধন,,
উক্ত প্রবাদ বাক্যটি গভীরভাবে দৃষ্টি দিলে বোঝা যায়
অমূল্য রত্ন সহজে চেনা খুবিই কঠিন,আর অর্থ সম্পদের মালিক হওয়াও ততটা সহজ নই।কারন অর্থ সম্পদ এমন একটি জিনিস,যা সবাই ধরে রাখতে পারে না।অর্থ সম্পদের মালিক হওয়ার জন্য প্রয়োজন কটুর পরিশ্রম আর সাময়িক কৃপণতা। মানুষের অলসতা মানুষ কে ধ্বংস করে। জমানো সম্পদ যতই থাকুক,একজন অলস ব্যাক্তি কখনও সেই সম্পদের মালিক বেশিদিন থাকতে পারে না।রাজার রাজত্ব শেষ হয়ে যায় অলসতার কারনে। আর আয়ের তুলনায় ব্যায় যাদের বেশি,সেই ব্যাক্তি কখনও সম্পদের মালিক হতে পারে না।
বাকি থাকলো অমূল্য রত্ন।অমূল্য শব্দের শাব্দিক অর্থ,যার কোনো মূল্য নেই। গভীরভাবে ভাবে শব্দটি বিশ্লেষণ করলে,প্রধানত অমূল্য রত্ন বলা হয়,মা-বাবা আর জ্ঞানি ব্যাক্তিদের। তাছাড়া যতো সম্পদ রয়েছে বাকি সবকিছুরেই মূল্য আছে,হয়তো সেটা খরিদ করার মতো ক্ষমতা বেশি মানুষের নেই।যেমন হিরা,মুক্তা সহ কিছু সম্পদ রয়েছে যা কেবল মাত্র অধিক অর্থ সম্পদের মালিকেরাই খরিদ করতে পারে।কিন্তু জ্ঞানি ব্যাক্তিদের মাঝে এমন কিছু গুনি ব্যাক্তি রয়েছে,যার মূল্যায়ন সবাই দিতে পারে না।আর সেইসব ব্যাক্তিদের জন্ম অতি সহজে হয় না। যেমন তুলনামূলক ভাবে যদি বলি সুনামগঞ্জ জেলার মা ও মাটির গর্ভ হচ্ছে এ্যাডঃ শিশির মোহাম্মদ মনির।
এর কারন কি শুধু উনি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী বলে?
না,এই ধারনা করা ভুল,কারন স্বপ্ন বাস্তবায়নে মেধাকে কাজে লাগিয়ে কঠুর পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেকেই সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হতে পারে। তাহলে প্রশ্ন থাকতে পারে,যে শিশির মনিরের মাঝে কি এমন গুন রয়েছে,যার কারনে ওনি অমূল্য রত্ন?
বাংলাদেশের শীর্ষ সফল ব্যাক্তিদের মাঝে উনি একজন অন্যতম সফল ব্যাক্তি। আর এরকম সফল ব্যাক্তিদের জন্ম দেশ এবং জাতির জন্য এক শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। এ্যাডঃ শিশির মোহাম্মদ মনির একজন আইনজীবী নয় শুধু, একজন আন্তর্জাতিক নেতা ও আদর্শবান ব্যাক্তি। বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়া-লেখা করা বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল, এ্যাডঃ শিশির মোহাম্মদ মনির সমাজের মানুষের স্বপ্নের নায়কে রুপান্তরিত হয়।লাখো তরুনের স্বপ্নের নিশানা হিসেবে রুপান্তরিত হয় এই মহৎ ব্যাক্তিটি।দ্বীন কায়েমের আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে পরিচয় অর্জন করে সারা দেশে। যার মাঝে রয়েছে আল্লাহ প্রদত্ত কিছু জ্ঞান। যেই জ্ঞান সবাই অর্জন করতে পারে না। ওনি ওনার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র পরিচালকদের সাথে গড়ে তুলেছে ওনার গভীর সু-সম্পর্ক। এ্যাডঃ শিশির মোহাম্মদ মনির ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে একজন সঠিক চিন্তার অধিকারী। এবং একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব যদিও, উনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করেছেন। সুনামগঞ্জ জেলার ভাটি অঞ্চলে ব্যক্তিত্বের তুলনায় উনি একমাত্র ব্যক্তি যার মাঝে রয়েছে অপ্রকাশিত অনেক গুন। আর এরকম গুণী ব্যক্তিদেরকে চেনা খুবই কঠিন। এরকম জ্ঞানী ব্যক্তিদেরকে যেই জাতি চিনবে, সেই জাতি অবশ্যই সফল হবে। অতএব, ভাটি বাংলার এই সূর্য সন্তানকে যদি ভাটি বাংলার মানুষ চিনতে না পারে, তাহলে এটাই হবে এই জাতির জন্য চরম ভুল। যেই ভুলের মাশুল একাত্তরের পর থেকে দিরাই-শাল্লার মানুষকে দিতে হয়েছে। সেই ভুল সংশোধন করে একজন সৎ নেতৃত্বের হাতে দিরাই-শাল্লার গণমানুষের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে দিরাই- শাল্লা বাসীর অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। একাত্তরের পর থেকে অবহেলিত দিরাই-শাল্লা বাসীকে একমাত্র ভালোবাসার শীর্ষস্থানে রূপান্তরিত করতে পারে এডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির। রাষ্ট্রীয় সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত লাঞ্চিত দিরাই-শাল্লা বাসীর সকল অধিকার কে বাস্তবায়নের একমাত্র মহানায়ক শিশির মোহাম্মদ মনির।আমি আমার ভাষায় বলতে চাই,,
রাষ্ট্রকে দুর্নীতিমুক্ত দেখার আগে
নিজের পরিবার এবং সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করুন,
পাল্টিয়ে দিন নিজের চিন্তা ভাবনা
পাল্টে যাবে সমাজ।
দুর্নীতিমুক্ত করুন নিজস্ব সমাজ
দুর্নীতিমুক্ত হয়ে যাবে সারা দেশ।
আর সেই জন্য প্রয়োজন একজন সৎ আদর্শবান নেতা। আর সেই নেতাকে যদি আমরা চিনতে ভুল করি, সেই ভুলের মাশুল আমরা কখনো দিতে পারবো না। আর চিনতে না পারাটাই হবে আমাদের জন্য চরম বোকামি।
অর্থাৎ, দিরাই-শাল্লাকে দুর্নীতিমুক্ত ও বিশ্বের কাছে একটি আদর্শ রোল মডেল হিসেবে রূপান্তরিত করতে একজন আদর্শবান সৎ যোগ্য নেতার প্রয়োজন। আর আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বহুগুণে গুণান্বিত আল্লাহ প্রদত্ত বহু জ্ঞানের অধিকারী এডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনির। আমি তো বলেই প্রায় সময়েই থাকি, দিরাই-শাল্লা বাসির জন্য এ্যাডঃ শিশির মোহাম্মদ মনির হলো আল্লাহ প্রদত্ত শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। আর সেই নেয়ামত যারা চিনতে পারবে তারাই সফলকাম হবে।
লেখক:
কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক, ঢাকা - বাংলাদেশ।