লেখক:- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
মানব চরিত্র বিশ্লেষণ করা দুরূহ ! ভালোবাসার ব্যর্থতায় আত্মহত্যা করতে দেখেছি শত আবার দ্বিতীয় তৃতীয় বার ভালোবাসায় জড়াতে দেখার পরিমান কম না। আমার জন্মস্থান গ্রামে, একসময় এনড্রিন নামক বিষ প্রায় সব বাড়ীতে পাওয়া যেতো। ঢক ঢক করে গিলে অনেক নারী ছোট খাটো বিষয় আত্মহত্যা করতো। যদিও এখন তা কমেছে! বিশ্বে সবচেয়ে বেশী আত্ম হত্যা করে নারী এবং তার পরিমান প্রতিবেশী ভারত এক নাম্বারে!
প্রিয় পাঠক, আমার অভিজ্ঞতার আওতায় যারা দ্বিতীয় বার ভালোবাসায় জড়িয়ে ঘর ভেঙেছে তাদের নাম বললে আপনারা চিনবেন না বরং আপনারা যাদের চিনেন তাদের কথা বলি।
আপনার দেশের সিনেমার নায়ক “আলমগীর” ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন “খোশ নূর” কে, তিনি একজন কবি, অনেক ভালো লিখতেন, আমি তার কবিতা পড়েছি! আলমগীর নায়ক হয়েছেন, ১৯৭২ সালে “আমার জন্মভূমি” সিনেমায়। তিনি নায়ক গায়ক পরিচালক প্রযোজক!
রুনা লায়লার প্রযোজিত সিনেমা “আমি শিল্পী” তে আলমগীর নায়ক ও রুণা নায়িকা। সম্ভবত এখানেই প্রেম এবং বিয়ে, মনে হয় ১৯৭৭ সালের ঘটনা! খোশনূর আলমগীর ও শিল্পী, তখন তাদের ৩ সন্তান। খোশনূর আর কোনদিন আলমগীরের সান্নিধ্যে আসেন নাই, হারিয়ে গেছেন জীবন থেকে, তার ছেলে মেয়েরা বাবাকে মেনে নিয়েছেন, রুনা লায়লা ও তিন সন্তান কে নিজ সন্তানের মত দেখেন। কয়দিন আগে রুনার সম্ভবত
৭০ তম বিবাহবার্ষিকী পালন হলো!
(ছোট খাট ভুল information থাকতে পারে, পুরাটা আমার মস্তিষ্ক নিসৃত।)
বাংলাদেশের মিস্টি মেয়ে কবরী তার সন্তানদের নিয়ে ছেড়ে আসেন আগের স্বামী চিত্ত চৌধুরী কে এবং বিয়ে করেন নারায়নগঞ্জের বর্তমান সাংসদ শাশীম ওসমানের চাচাকে সরেয়ার ওসমানকে ভালোবেসে! শেষের দিকে বনিবনা বেশ গোলমেলে ছিলো।এমনকি ডিভোর্স হয়ে গেছিলো সম্ভাবত। আমার সাথে কবরীর বেশ জানাশোনা ছিলো। অনেকবার একগাড়ীতে রাতের বেলা ঘুরেছি। হা হা হা শুনতে একটু খারাপ শোনা গেলো। অনেক সময় ট্রান্সপোর্ট অফিসার বলতেন, স্যার এক্সট্রা গাড়ী নাই, কবরী ম্যডাম কে নিয়ে যান, আপনি নেমে থেকে ড্রইভার কে ছেড়ে দিবেন সে কবরী ম্যডামকে এগিয়ে দিয়ে আসবে। ড্রাইভারের নাম ছিলো বজলু, চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ছিলো। তার সহায়তায় জিয়ার নির্দেশে আমার ততকালীন কর্মস্থলের চারজন (ডাইরেক্টর অফ এ্যাডমি, ডাইরেক্টর অফ এ্যাকাউন্ট ইত্যাদি কে চোখ বেধে নিয়ে হত্যা করা হয়।
প্রিয় পাঠক, টাইটানিক সিনেমা দেখেছেন? ইংরেজি ভার্সন যারা দেখেছেন তারা দেখেছেন কতটা অশ্লীল আপনাদের কারো কারো চোখে, আমার কাছে কিছুই অশ্লীল না, ঢাকা মধুমিতা সিনেমা হলে একাধারে সাতমাস চলেছে —–
সেই সিনেমার দুর্দান্ত সুন্দরী নায়িকা কেটস তখন ছিলো অবিবাহিত। এর পর ভালোবেসে বিয়ে, এক সন্তান, ছাড়াছাড়ি আবার ভালোবেসে বিয়ে এক সন্তান, ছাড়াছাড়ি, আবার ভালোবেসে বিয়ে, এক সন্তান, ছাড়াছাড়ি ও তিন সন্তান নিয়ে একাকিত্ব জীবন!