ফরহাদ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:
পীর, ওলামা- মাশায়েক দের ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান দার্শনিক ও গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য ও কাজী নজরুল সুফী সোসাইটির চেয়ারম্যান এমেরিটাস অধ্যাপক ডক্টর আনিসুজ্জামান। তিনি ছাত্র-জনতার বিপ্লবোত্তর সরকারের আমলে দরগা, মাজার সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর ও নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন আমাদেরকে সাম্য ও সম্প্রতীর বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। মনে রাখতে হবে রাষ্ট্রে সকল মতাদর্শের মানুষের সহ অবস্থানের অধিকার রয়েছে। নিজেদের মধ্যও সংস্কারের দাবি জানান তিনি। দরগা মাজারে শরীয়ত পরিপন্থী কাজকর্ম, আচার অনুষ্ঠান যেন না হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখতে আহ্বান জানান। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ জুমাবার রাত ৭ ঘটিকায় মোহাম্মদীয়া দরবার শরীফ লালকুঠির আয়োজনে পবিত্র ঈদেমিলাদুন্নবী সাঃ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল মোহাম্মদীয়া দরবার শরীফ, লালকুঠির গদ্দিনশিন পীর সাহেব কেবলা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হযরত শাহসুফি ডক্টর মুহাম্মদ আহসানুল হাদী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মেহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য ডক্টর মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজি, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর কে এম সাইফুল ইসলাম খান, আরবী বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুল কাদির, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, শাহসুফি
হাফেজ আব্দুর রহমান, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নজরুল গবেষক মোঃ মেহেদী হাসান, কাজী নজরুল সুফি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও গণমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, জুরাইন শাহ মাজার মসজিদের খতিব মুফতি মাসউদ রিজভী, আনোয়ারুল হাদী, মাওলানা মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দীন,সাংবাদিক মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, কবি আলী হাসান প্রমুখ।
বিশেষ অতিথিগণ বক্তব্যে বলেন সবার আগে মানুষের নৈতিক চরিত্র সংশোধন করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন শিক্ষা সংস্কারে গুরুত্ব দেওয়া। নৈতিক চরিত্র সম্পন্ন জাতি গঠনে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও পদ্ধতির আমুল সংস্কার করা না গেলে রাষ্ট্র মেরামত ও সংস্কার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। উপমহাদেশে সুফিদের আগমনের মাধ্যমে ইসলাম প্রচারের সঠিক ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। মাজার ও দরগার নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় সরকার কে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
রাত ৭.০০ ঘটিকা হতে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা, মিলাদ ও গজল পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শতশত ভক্ত ও মুরিদানের দোয়ার রাত ১২.০০ ঘটিকায় পবিত্র ও নুরানি মেহফিলের সমাপ্তি ঘটে।