ফরহাদ চৌধুরী, স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা:
জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে পবিত্র ১২ রবিউল আউয়াল উদযাপন উপলক্ষে গত ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খৃস্টাব্দ সোমবার বিকেল ৬ ০০ ঘটিকায়
রাসুলুল্লাহ সাঃ শানে নাতে রাসুল, কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি, পুঁথি পাঠ এবং আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য কবি, প্রবন্ধকার, গীতিকার সাবেক এডিশনাল এসপি বীরমুক্তিযোদ্ধা এটিএম ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। আমাদের বাস্তব জীবনে তাঁর জীবনাদর্শ মেনে চলতে পারলেই কাঙ্খিত সফলতা ও পূর্ণতা পাবে। আমাদের লেখনিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় তার জীবনাদর্শকে তুলে ধরতে পারলেই দেশ, সমাজ ও পরিবার সুন্দর হবে। তিনি আরো বলেন, অসহিষ্ণু অন্ধকার সমাজ দেশ ও জাতি কে আলোর মুখ দেখাতে পারেন একজন নারী, একজন মা।
কাজেই জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদ পারবে, আমাদের দেশ ও জাতি কে সেই আলোর মুখ দেখাতে। সুষ্ঠ সুস্থ ও সুশৃঙ্খল জাতি বির্নিমানের প্রত্যয় নিয়ে জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদ এগিয়ে যাবে, আমি তাদের সাথেই আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ।
প্রধান আলোচক হিসেবে বিদ্রোহী The Nazrul Centre এর চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট গণমাধ্যমকর্মী, রাস্ট্র চিন্তক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, মহানবী সাঃ এর আগমনের পূর্বে নারীরা ছিলো চরম নির্যাতিত, অবহেলিত ও বঞ্চিত। নারীদেরকে জন্মলগ্নে-ই জীবন্তপুতে ফেলা হতো। নারী কে দেখা হতো দাসী শুধু-ই ভোগের পণ্য হিসেবে এবং এভাবেই ব্যবহার করা হতো।
নারীর সম্মান, অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাই আমাদের উচিত রাসুল সাঃ এর জীবন ও দর্শন থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের মর্যাদাকে নিজেরাই রক্ষা করা।
জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদ এর সম্মানিত সভাপতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের এডিশনাল ডিরেক্টর কবি ও পুথি সম্রাজ্ঞী হাসিনা মমতাজ হাসি আপার সভাপতিত্বে ও সংগঠন এর সাধারণ সম্পাদক কবি ও কথাসাহিত্যিক নাসরিন ইসলাম শেলী এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি বরেণ্য শিক্ষাবিদ, নারীনেত্রী ও কবি জেসমিন নূর প্রিয়াঙ্কা, বলেন নারী ও মা হিসেবে আমাদের সন্তানদের যোগ্য মানুষ হিসেবে তৈরি করতে তাদের মেধা, ইচ্ছে ও যোগ্যতাকে গুরুত্ব দিতে হবে৷ তাহলেই এ যুগে তারা সফল হবে। তাদের খেলাধুলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় আগ্রহী করে তুলতে হবে। আমি আজ হতে চেষ্টা করবো মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনাদর্শ মেনে চলতে। কারন মহানবীর আদর্শই হলো মানব জাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় শ্রেষ্ঠ আদর্শ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব এম এ ইউসুফ, কবি ও শিক্ষাবিদ আবুল কালাম আজাদ, উপস্থাপক কবি আবৃত্তিকার নৃত্য শিল্পী সিআইডি তে কর্মরত ও জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদ এর সম্মানিত সদস্য সুলতানা চৌধুরী, সন্মানিত সদস্য তুখোড় নাট্যভিনেতা রাস্না হিমেল, সম্মানিত সদস্য উপস্থাপক ও আবৃত্তিকার সুলতানা রাজিয়া, সম্মানিত আলেমা নবনী ইয়াদনীল নিধি, কবি ও সংগীত শিল্পী নাসরিন আখতার।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে সভাপতি হাসিনা মমতাজ হাসি আপা জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর শানে কবিতা, প্রবন্ধ , উপন্যাস ও গজল রচনায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে । সেই সাথে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনাদর্শ আমাদের যাপিত জীবনে মেনে চললেই আমরা পেতে পারি নির্মল ধরণী। জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদ এর থিম সং জাগো নারী জাগো বহ্নি শিখা ও সমাগত কণ্ঠে নাতে রাসুল সাঃ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে সবাই রাসুল সাঃ এর শানে কবিতা, গজল ও বাণী পরিবেশন করেন।
সর্বশেষে কবি ও কথাসাহিত্যিক জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক নাসরিন ইসলাম শেলী বলেন নজরুলীয় চেতনায় উজ্জীবিত আজকের বাংলাদেশ। নারী জাগরনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার হাত ধরেই আজকের বাংলাদেশে সামাজিক রাজনৈতিক, রাস্ট্র ও জাতি গঠনে নারীরা অগ্রণী ভুমিকা পালনে করে চলছে। তাই নারীদের এই অগ্রযাত্রায় একই সামিয়ানায় আবদ্ধ হয়ে সহিষ্ণু সুশৃঙ্খল জাতি গঠনে জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদ বদ্ধপরিকর।