সুলতানা রাজিয়া, স্টাফ রিপোর্টার:
শোষনমুক্ত ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় অঙ্গিকারাবদ্ধ দেশের ঐতিহ্যবাহী বিপ্লবী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৫০ তম শুভ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জাতীয় নেতা মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, কার্যকরি সভাপতি সৈয়দ রাশেদুল আলম তর্কবাগীশ ও মহাসচিব আলহাজ্ব মোঃ আকবর হোসেন এক বাণীতে বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা, শুভকামনা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করে বলেন শোষনমুক্ত, ইনসাফভিত্তিক সমাজ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আপোষহীন ও বিপ্লবী নেতৃত্ব পার্টির সুযোগ্য চেয়ারময়ান জননেতা হামদুল্লাহ আল মেহেদী ও মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সুযোগ্য নেতৃত্বে দল আরো এগিয়ে যাবে। বর্তমান সাহসী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গনতন্ত্রেহীনতার বিরুদ্ধে সাহসী উচ্চারণ ও কঠিন সংগ্রামে অগ্রণী ভুমিকা পালন ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে অনুঘটকের কাজ করে।
সেই সাথে আজকের ৫০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে গভাীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি মজলুম জাতীয় জননেতা একজন মাওলানা আব্দুল মতিন কে ।
৭৫ পরবর্তী সময়ে দুনিয়ার মজদুর এক হও লড়াই কর’ স্লোগানে মুখরিত পল্টন-দৈনিক বাংলা এলাকা। ১৯৭৮ সালের কোন এক বিকেলে শত শত ঠেলাগাড়ি নিয়ে শ্রমিকদের দাবি আদায়ের মিছিল। এর আগে ঢাকাবাসী কখনও না দেখা ব্যতিক্রম এ মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং ফারাকা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা আবদুল মতিন। তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন জাসদের কেন্দ্রীয় এ নেতা ধর্মীয় বিতর্কে জাসদ ত্যাগ করে ১৯৭৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নেবার পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা হলে ১৪টি রাজনৈতিক দলের সাথে বাংলাদেশ লেবার পার্টিও নিষিদ্ধ হয়।
১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র চর্চার অনুমতি দিলে লেবার পার্টি মাওলানা মতিনের নেতৃত্বে পুনরায় কাজ শুরু করে।
জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৮ সালের ৭ মে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন হলে শাহ আজিজুর রহমানের মুসলিম লীগ, মশিউর রহমান যাদু মিয়ার নেতৃত্বে ন্যাপ, বিচারপতি আবদুস সাত্তারের জাগদল, মাওলানা আবদুল মতিনের লেবার পার্টি, কাজী জাফরের ইউপিপি ও রমরাজ মন্ডলের তফসিলি জাতি ফেডারেশন ফ্রন্টে অন্তর্ভুক্ত হয়। এ ফ্রন্ট গঠনে মাওলানা মতিনের ভূমিকা ছিল অনন্য।
জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট পরবর্তীতে বিএনপিতে বিলীন হয়ে গেলে মাওলানা লেবার পার্টি নিয়ে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু সোচ্চার থাকেন।
রাজনীতির বিশ্বাসঘাতকতা, হালুয়া-রুটির কামড়াকামড়ির নির্বন্ধ বেহায়াপনা খুব কাছ থেকে দেখা এ রাজনীতিবিদ বঞ্চিত মানুষের অধিকারের কথা বলতে বলতে অনেকটা অভিমানে অনেকটা নিভৃতে সৃষ্টিকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যান তিনি বড় অসময়েই।
শোষণমুক্ত ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাওলানা আবদুল মতিনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি আজকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে। ছাত্রজনতার বিপ্লবোত্তর সরকার যদি রাস্ট্র মেরামত ও সংস্কার করে উদার গণতন্ত্র, সুশাসন ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় তবেই মাওলানার আত্মা শান্তি পাবে আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী ও মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামাুন এর গতিশীল, বলিষ্ঠ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে দল আরো এগিয়ে যাবে মাটি ও মানুষের আশা- আকাঙ্খা পূরণে এ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
জয় হোক গণমানুষের রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির।